মোঃ রাজিউর রহমান-ভোলা :
ভোলা উপকূলের নদনদীতে বৈরী আবহাওয়া ও টানা মুষলধার বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নদীপথ অস্বাভাবিক উত্তাল থাকায় গত ১১ দিন ধরে জেলার অভ্যন্তরীণ ২০টি নৌরুটে লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
টানা বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় প্রায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, বর্তমানে জেলার নদীবন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে, যা আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে, ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে কিছু ফেরি চলাচল করছে। তবে নদীপথ স্বাভাবিক না হওয়ায় অন্যান্য নৌরুটে যাত্রী পারাপার একপ্রকার বন্ধ রয়েছে। ভোলা বিআইডব্লিউটিএ বন্দর কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন জানান, ‘নদীপথ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো লঞ্চ বা সি-ট্রাক চলাচলের অনুমতি দেয়া হবেনা।’
ভোলার মেসার্স ব্রাদার্স নেভিগেশন কোম্পানির ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিন জানান, উত্তাল নদী ও বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে তাদের কর্ণফুলী সিরিজের সব লঞ্চ ঢাকা, হাতিয়া, মনপুরা, চরফ্যাশন ও হাকিমুদ্দিন রুটে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নদী উত্তাল ও বৃষ্টির কারণে থমকে গেছে উপকূলীয় জনপদের স্বাভাবিক জীবন। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত আবহাওয়ার উন্নতি ও নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page