আশরাফুল আলম সরকার :
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বেকাসাহারা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর মেয়ে মোছা: লাকী বেগমের উপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছেন।
শ্রীপুর উপজেলার বেকাসাহারা গ্রামের মো: ইসমাঈল, নজরুল ইসলাম, ফজলুল হক, আঃ মতিন সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন এ বিষয়ে লাকি বেগম বাদি হয়ে শ্রীপুর মডেল থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগে লেখেন বিবাদীগন দীর্ঘদিন পূর্ব হইতে আমাদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়া শত্রুতা পোষন করিয়া আসিতে থাকে। পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে রাস্তাঘাটে মারধর সহ খুন জখম করিবে মর্মে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়া আসিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৬/০৭/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় আমি বিবাদীদের বাড়ীর পূর্ব পাশে আমাদের বাঁশঝাড় হইতে বাঁশ কাটিয়া নিয়া আসার পথে বিবাদীদের বাড়ীর পূর্ব পাশে মাটির রাস্তা দিয়া গলির ভিতরে পৌছা মাত্রই পূর্ব থেকে উৎপাতিয়া থাকা বিবাদীগন অজ্ঞাত নামা বিবাদীদেরকে সাথে নিয়া ধারালো, দা, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার উপর পিছক দিক হইতে অর্তকিত হামলা করে এবং কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া ও লাঠি দিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া নীলা ফুলা জখম করে।
একপর্যায়ে ১নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া মাথা লক্ষ করিয়া কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার কপালের বাম পাশে লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত মারাত্মক জখম হয়। ২নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে গলায় চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধের চেষ্টা করিয়া গলার নিচে ফুলা জখম করে। ৪নং বিবাদী আমার চুলের মুঠিতে ধরিয়া ও পরিহিত কাপড় টানাহেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। ৩নং বিবাদী রাস্তার পাশে থাকা ৮ ইঞ্চি ইটা দ্বারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করিয়া আঘাত করিলে উক্ত আঘাত আমার মাথার উপরি ভাগে লাগিয়া গুরুতর জখম হয়। উক্ত সময়ে আমি মাটিতে লুটিয়া পড়িলে ৪নং বিবাদী আমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণেল চেইন মূল্য অনুমান ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, দুই কানে থাকা চার আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল মূল্য অনুমান ৪০ হাজার টাকা কান ছিড়িয়া নিয়া যায় এবং একটি স্বর্ণের নাক ফুল মূল্য অনুমান ৪ হাজার টাকা নাকসহ ছিড়িয়া নিয়া যায়। আমার ডাকচিৎকারে আশপাশ হইতে লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীগন আমাকে খুন জখমের হুমকি দিয়া দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। উক্ত সময়ে আশপাশের লোকজন আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি অটোরিক্সা যোগে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়া আসিলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার জখমের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। উক্ত সময়ে আমার মাথার আঘাতের ফলে ঘন ঘন বমি শুরু হলে আমার অবস্থার অবনতি দেখিয়া কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর রেফাড করেন। পরে আমার পরিবারের লোকজন গাজীপুর সদর হাসপাতালে আমাকে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার জখম সেলাই বেন্ডস সহ চিকিৎসা প্রদান করেন।
এবিষয়ে বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করলে বিবাদীদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page