স্টাফ রিপোর্টার :
ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক এমপি মতিয়ার রহমানের কাছের লোক বলে পরিচিত মিজানুর রহমান মন্টু। যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মতিয়ার রহমান এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও অপকর্ম করে শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। সেই সুবাদে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার সভাপতি পরিচয় দিয়ে এবং মতিয়ার রহমান এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়মিত করে আসিতেছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা নিয়োগের নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়ে কারও কারো বিল বাইর করার নাম করে আবারও টাকা হাতিয়ে নেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা তার নামে বিভিন্ন অভিযোগ করতে গেলে তাদেরকে চাকুরী চুতো এবং জীবননাশের হুমকি দেন। অথচ তার বাবা ছিলেন একজন খেটে খাওয়া দিনমজুর। এখন তার বাড়িতে বিলাসবহুল বিল্ডিং।
এমপি মতিয়ার রহমানের সুবাদে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর পদ বাগিয়ে নেন। সেই সুবাদে জেলার বিভিন্ন জায়গায় তিনি চাঁদাবাজির মহোৎসবে পরিণত করেন। শুধু চাঁদাবাজি নয় বিভিন্ন জায়গায় জায়গা দখল করেন এবং স্টান্ড দখল করেন বিভিন্ন অটো রিক্সা টেম্পু স্টান্ড থেকে উনি নিয়মিত চাঁদা কালেকশন করেন। পাঁচই আগস্টে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর উনি কিছুদিন নীরবতা পালন করেন।
বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর খোলস পাল্টিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতার ছত্র ছায়ায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করিতেছেন। যার কারণে অতীতের ন্যায় আবার সে নিয়োগ বাণিজ্য এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কাছ থেকে বেতন ভাতা বাইর করার নাম করে টাকা নিয়মিত আদায় করিতেছেন। যার কারণে অতীতে যাদের কাছে টাকা নিয়েছেন কোন ভুক্তভোগীর অভিযোগ উনি কোন কর্ণপাত করেন না উল্টা আরও জীবন নাশের হুমকি দেন। মিজানুর রহমান মন্টু লালমনিরহাট জেলার সদরের কুলাঘাট ইউনিয়নের দিনমজুর মোঃ মনসুর আলী এর ছেলে।
তার এই অপকর্মের ফলে ভুক্তভোগীরা এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তাই এলাকার জনমানের প্রশ্ন কিভাবে একজন ফেসিস্ট সরকারের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার এত অপকর্ম করার পরেও আরাম আয়েশে নিজ বাড়িতে অবস্থান করে এটাই এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page