মোঃ মাহবুবুর রহমান সোহেল :
গাজীপুর চন্দ্রা তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ম্যানেজার/উপ প্রকৌশলীগন নিয়ম অনুযায়ী বদলি হলে আসা-যাওয়া কর্মকর্তাগণের আজীবন ড্রাইভার হিসেবে তেলাপোকার মতো থেকে যান ফোরস্টার খ্যাত সাইফুল, অনেক সময় জ্ঞানীরা বলে থাকেন ডাইনোসর বিলুপ্ত হলেও তেলাপোকার বিলুপ্তি নেই, তাইতো সাসপেন্ড কিংবা বদলি এমন বালাই মুক্ত ডর ভয় বিহীন চতুর্দশপদী সাইফুল ড্রাইভার যেন বল্গাহীন ঘোড়া, তার এমন গুণাবলী টেকনিক্যালি বুদ্ধিমত্তায় চলে চন্দ্রা তিতাস গ্যাস অফিস।
ড্রাইভার সাইফুল একটি মাইক্রো গাড়ি দিয়ে চন্দ্রা তিতাস গ্যাস অফিসের কার্যক্রম শুরু করলেও আসা-যাওয়া কর্মকর্তাগনের মাঝে ভালোবাসার মূলধন বিলিয়ে তাদের আশীর্বাদে বর্তমানে তার রয়েছে বেশ কয়েকটি দামী গাড়ি, আজ অলৌকিক ভাবে কোটিপতি বনে যাওয়া সাইফুল ড্রাইভারের চলাফেরা অফিসিয়াল কর্মকান্ডে কাগজ পত্র দেখা শুনার ক্ষেত্রে ভাবখানা এমন যে তিনি যেন অফিসের সর্বেসর্বা।
গাজীপুর গ্যাস অফিস এবং আশুলিয়া সাভার গ্যাস অফিসে রয়েছে তার একাধিক গাড়ি, উল্লেখিত গ্যাস অফিসের কর্তৃপক্ষ তার এসব দামি গাড়ি গুলো মাসিক ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত চন্দ্রা গ্যাস অফিসে এই সার্ভিস পরিচালনায় থাকায় আবাসিক অনাবাসিক বাণিজ্যক গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সূত্র ধরে সখ্যতা গড়ে ওঠে, উল্লেখিত অফিসের আওতায় প্রতিটি অলিগলিতে যাতায়াত রয়েছে তাহার,সার্ভিস টিমের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ কেহ না জানলেও সাইফুল ড্রাইভার জানে কোন কোন গ্রাহকের বকেয়া বিল ঘাটতি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারী কতজন ? বৈধ গ্রাহক সংখ্যা কত? তার বুক পকেটে রয়েছে এমন বিশাল হিট লিস্ট এই সূত্র ধরে চলে হুঁশিয়ারী গ্রাহকরা জানে ওই সাইফুল গ্যাস অফিসে কর্মরত ম্যানেজারের সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত ডাইভার তাইতো তার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য গ্রাহকরা অবৈধ অনৈতিক সুবিধে আদায়ের লক্ষে তার পেছনে লেগেই থাকেন।
অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাগণ বদলি হলে নতুন কর্মকর্তা কর্মচারীগণ জানে না কোথায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ রয়েছে, তাইতো ঘোড়া খ্যাত সাইফুলের উপর বিশাল দায়িত্ব হীরা মানিক্যের বোঝার মতো চাপানো থাকে নতুন কর্মকর্তাগণ এসে তাহারই মুরিদ বনে যান , যে সমস্ত অবৈধ গ্রাহকদের সঙ্গে তাহার মাসিক লেন-দেন হয় তাহারা থাকে কালো পর্দার অন্তরালে, এর বাহিরে চলে সংযোগ বিচ্ছিন্নের রুলার, তারপর তাহারই মধ্যস্থতায় গোপন সমবুঝতায় আবার চালু করা হয় নতুন পুরাতন সংযোগ , সহকারী প্রকৌশলী কিংবা উপসহকারী প্রকৌশলী কে চাকুরীর নিয়ম অনুযায়ী সকাল দশটায় অফিসে পৌঁছে দেওয়া অফিস ছুটির পর কর্মকর্তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া তাহার রুটিন মাফিক কাজ,এর ফাঁকে অন্তরা রুটিনে এক এক এলাকায় গ্যাস সরবরাহকারী অবৈধ গ্রাহকদের সঙ্গে গোপন দেন-দরবার ও অবৈধ লেনদেনের এই কাজটি পরিচালনা করে বেলা দুটো থেকে তিনটার মাঝে সঙ্গে থাকে কর্মকর্তাদের মাঝে কেউ না কেউ , তার এহেন কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান তিনি যা কিছু করেন তার যোগ্যতা দিয়েই করেন আসলে বিষয়টি তাই, ম্যানেজারের ড্রাইভার হওয়ার কল্যাণে অফিসিয়াল কর্মকর্তা কর্মচারী ও গ্রাহকগণ ড্রাইভার সাইফুল কে সমীহ করে চলেন, তাইতো তাহাকে ছাড়া অবৈধ গ্রাহকদের সঙ্গে কোন প্রকার লেন-দেন হয় না।
কোথাও কোন প্রকার লেন-দেনের ঘাটতি দেখা দিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের কানে কানে শুনিয়ে দেওয়া হয় বিচ্ছিন্নের নিরব মন্ত্র, যে কারণে স্থানীয় ঠিকাদারগন সাইফুল ডাইভারের এহেন কর্মকান্ডে বিরক্তি প্রকাশ করছেন ৷তাহার কান মন্ত্রণায় প্রকৌশলী গন ভ্রাম্যমান আদালতের সাহায্য নিয়ে কালে-ভাদ্রে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এতে করে ফিলিং স্টেশন সহ বৈধ অবৈধ গ্রাহকদের সঙ্গে আলো আঁধারে কৃষ্ণ লীলার মতো চলে গোপন লেন-দেনের লীলা। গ্যাসের বিশাল অপচয় রোধে উল্লিখিত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন দেশ প্রেমিক নাগরিক সমাজ।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page