মোঃ জাহিদ হোসেন জিমু-গাইবান্ধা :
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা শহরের পাশেই সরকারী হাসপাতালটি অবস্থিত। হাসপাতালটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট। হাসপাতালটির অবকাঠামো বাইর থেকে সুন্দর দেখা গেলেও সেবার মান একেবারে শুন্য। এককথায় বলা যায় মাক্কাল ফল।
ইতিপূর্বে হাসপাতাল নিয়ে অনেক রিপোর্ট ও প্রতিবেদন করেছে সাংবাদিকগন। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিক বার অভিযোগ করেছে উদ্ধতন মহলের কাছে কিন্তু যে লাউ সেই কদু। বরঞ্চ আমরা দেখতে পেয়েছি হাসপাতালে কুকুর যে বিছানায় রাতে শোয় সেখানে রোগীকে থাকতে দেয়া হয়। নোংরা বিছানায় থাকতে দেয়া, গন্ধর বিষয়ে বলার ভাষা নাই।
নার্স ও স্টাফদের বিষয়ে আর না বলি, এরা হাসপাতালকে নিজেদের বাপের সম্পত্তি মনে করে। পেশাদারিত্ব দায়িত্ব ভুলে গিয়ে সব সময় হাসি ঠাট্টা মশগুল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কাজের সময় ডাকলে বিরক্তি হয় এবং রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ আচরন করে থাকে। আবার বলে আমি তোমাদের চাকুরি করি না যে তোমাদের কথা শুনতে হবে। রোগীর স্যালাইন খুলতে হবে সঠিক সময়ে সেটাও তারা ভুলে যায়।
নার্সদের আরেকটা বিষয় না বললেই নয়, হাসপাতালের ২ বা ৩ জন নার্স বাইরের ক্লিনিকের সাথে যুক্ত। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা রোগী সংগ্রহ করে এবং নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করে নরমাল ডেলিভারি করতে পারলে হাতিয়ে নেয় ৫ বা ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত না হলে ক্লিনিকে রোগী পাঠায় শেয়ারের মাধ্যমে। জনগন কি আসল সেবা পাচ্ছে?? এসব দৌরাত্ম্য কবে বন্ধ হবে উদ্ধতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি। হাসপাতাল সম্পর্কে তারা নেগেটিভ ধারনা দিয়ে দ্যান গর্ভবতী নারীদের।
গতকাল জামালপুরের এক ছেলে রুবেল নাম তার আত্মীয় মাথায় চোঠ পেয়ে হাসপাতালে আসে এবং সেলাইয়ের কিছুক্ষন পর সবিতা নামে একজন দায়িত্বরত নার্সকে সে রক্ত বন্ধের জন্য অনুরোধ করে। নার্স তাকে বলে তার দ্বারা এ কাজ হবে না ইমারজেন্সী নিচে বলেন। এরকম হয়রানী হওয়ার ফলে নার্স এর বির্তকে জড়ায় নার্স তখন হাসপাতালের উর্ধতন কাউকে না জানিয়ে পাওয়ারফুল স্বামীকে বলে এবং পুলিশ নিয়ে আসে। এখানে ভুক্তভোগী রোগী সেবার পরিবর্তে পেলো লাঞ্চনা।
নার্সদের এতো ক্ষমতার কারন কী? কারন হলো তারা রাজনৈতিক আশ্রয় ও পলাশবাড়ীতে বাসা হওয়ার কারনে জনগন সঠিক সেবা পাচ্ছে না৷ কিছু নার্স রয়েছে যে আবার তার স্বামী পাওয়ারফুল সাংবাদিক তার ক্ষমতা দেখায়। এজন্য উদ্ধতন মহলের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে নিজ এলাকায় কর্মস্থল না দিয়ে অন্য এলাকায় কর্মস্থল দিলে জনগন প্রকৃত সেবা পেতো।
আমরা চাই আমাদের হাসপাতাল হোক জনবান্ধব মুক্ত, যেখানে থাকবেনা কোনো হয়রানী, বা সেবার নামে দৌরাত্ম্য।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page