স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা। এখনো যদি এই অঞ্চলগুলো মাদকমুক্ত না করা যায়, তাহলে আগামী দিনে মাদকের অন্তরালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে।
বেশ কিছু ঘটনাই লক্ষ্য করলে দেখা যায় কালশি ই ব্লকের রাকিবুল ইসলাম ওরফে পেপার সানি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। যখন তাকে পাওয়া যায় দেখা যায় তার হাতে হ্যান্ডকাফ পড়া, পা বাঁধা। এই সকল হত্যাকান্ড পরিকল্পিত বলে এলাকাবাসী জানায়।
পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী অস্ত্র মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসায়ীর পাইকারি ডিলার ল্যাংড়া রুবেল ওরফে এম এম রুবেলের কাছে এই এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। মিরপুর ১১ বিহারী পট্টি এলাকায় রাকিবুল ইসলাম সানি হত্যায় বাপ্পা, কাশরা সোহেল সহ অনেকে সম্পৃক্ততা আছে বলে এলাকাবাসী মনে করে। মাদকের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলেই তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয় এই ব্যবসায়ীরা।
সন্ধ্যার পর থেকেই গড়ে ওঠে মিল্লাত ক্যাম্পের আশেপাশে মাদকের অভয়ারণ্য। মিল্লাত ক্যাম্প ছাড়াও মিরপুর ১০, মিরপুর ১১, মিরপুর ১২ এই অঞ্চলগুলো ল্যাংড়া রুবেল মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে বলে জানা যায়।
পুলিশ প্রশাসন সহ সেনাবাহিনী রাস্তায় কিংবা বিভিন্ন অভিযানে ব্লকেট দিয়ে অনেককে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যায় এবং এখনো যারা মাদকের সাথে যুক্ত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ল্যাংড়া রুবেলকে ১৮ জুন ২০২৫ ইং তারিখে রাতে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ অঞ্চলগুলোতে যে সকল হত্যাকান্ড ঘটছে এই মুহূর্তে তার অধিকাংশই মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রুপিং এর কারণে হচ্ছে বলে ধারণা করা যায়।
এই ব্যাপারে প্রশাসন এর কাছে কঠোর নির্দেশনা দাবি করে। এলাকাবাসী মনে করে সানি হত্যাকাণ্ডের সময় যে হ্যান্ড কাপ ও অস্ত্র গুলো পাওয়া গেছে এগুলো দিয়েই এই চক্ররা বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে দাবি করে এলাকাবাসী।
এইজন্য অচিরেই প্রশাসনকে অস্ত্র এবং মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার দাবি জানায় এলাকাবাসী। এলাকার সাধারণ জনগণ এদের জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন প্রতিনিয়ত। অপরদিকে মাদক মুক্ত না হলে অচিরেই ছাত্র সমাজ একটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে বলে সচেতন অভিভাবকরাও মনে করে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page