আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ-মনোহরদী, নরসিংদী :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নরসিংদীতে ১৫ ও ১৬ জুন ২০২৫ তারিখে দুই দিনব্যাপী উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমীর, সেক্রেটারি এবং কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেন।

দায়িত্বশীল এই বৈঠকে ইসলামি নেতৃত্ব গঠনের মৌলিক দিক, সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল, দাওয়াতি কর্মকৌশল এবং সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতের করণীয় বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

শিবিরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম। তিনি বলেন, “জামায়াত একটি আদর্শিক দল, যা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বশীলদের উচিত আত্মশুদ্ধি, চিন্তাশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের মাধ্যমে সমাজে আলোর পথ দেখানো।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় অফিস সহকারি, আ ফ ম আব্দুস সাত্তার কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড. খলিলুর রহমান আল মাদানী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমীর আবদুল জব্বার এবং ঢাকা জেলা জামায়াতের আমীর মো. দেলোয়ার হোসেন।

তাঁরা সকলেই জামায়াতের কাঠামোগত শক্তি বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতার মান উন্নয়ন, চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং সমাজে ইসলামের মর্মবাণী পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শিবিরে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর নরসিংদী জেলা আমীর মাওলানা মোসলেহুদ্দীন। তিনি বলেন, “জামায়াত কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আদর্শিক আন্দোলন। প্রতিটি দায়িত্বশীলের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসলামী সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।”

বৈঠকের সঞ্চালনায় ছিলেন উপাধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন। তিনি প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সেশন সফলভাবে সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিবিরে জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মকবুল হোসেনসহ জেলার সকল উপজেলার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় দিনের সমাপনী অধিবেশনে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি এবং কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই ধরনের শিক্ষা শিবির দায়িত্বশীলদের আদর্শিক দৃঢ়তা, দলীয় ঐক্য এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দুই দিনের এই সফল আয়োজন নরসিংদী জেলা জামায়াতের সংগঠনিক সক্ষমতার একটি বাস্তব প্রমাণ এবং ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করছেন আয়োজকবৃন্দ।