আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তেহরান ও তেল আবিবের মধ্যে চলমান তীব্র সংঘাতের মধ্যে চীন ও রাশিয়া ইরানকে ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিমান চালান পরিবহণে সহায়তা করছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল ফোরটিন। বেইজিং ও মস্কো উভয়ই ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার (১৪ জুন) ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং তেহরানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বেইজিংয়ের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে চীনের এই শীর্ষ কূটনীতিক এও বলেছেন যে, ইরানের পরমাণু ইস্যু সমাধানের কূটনৈতিক উপায় এখনো শেষ হয়ে যায়নি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা রয়ে গেছে।
ইরানের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইসরায়েলি মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্র দশজন ব্যক্তি এবং সাতটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ইরানের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত। এগুলোর মধ্যে হংকং-ভিত্তিক হিরো কম্পেনিয়ন লিমিটেড, প্লজকম লিমিটেড এবং কিনলার ট্রেডিং লিমিটেডের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ওয়াল স্ট্রীট জার্নালের খবর অনুযায়ী, ইরান চীন থেকে হাজার হাজার টন ব্যালিস্টিক মিসাইলের উপাদান অর্ডার করেছে। লেনদেনের সঙ্গে পরিচিত সূত্রকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি দাবি করেছিল, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচির ভবিষ্যৎ আলোচনা করার সময় 'সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠন' করতে চাইছে।
চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপট
গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয় এবং পরে ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা করা হয়। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপরে হামলা অব্যাহত রেখেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের তীব্রতা বাড়িয়ে চলেছে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page