জন জাগরণ ডেস্ক :

শহীদের রক্ত বেঁচে ক্ষমতা ভোগ করতে করতে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেছো!! এখন নির্বাচনের কথা শুনতে একদমই ভাল লাগে না!! লন্ডনে যে দুইজন ভদ্রলোক মিটিং করেছেন তাদের একজন তোমাদের বাবার বয়সী, একজন দাদার বয়সী। ওনাদের সার্বিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং দেশের ভালোর জন্য ওনাদের ভাবনা তোদের কল্পনার বাইরে। এই কয় মাসে বেয়াদবি করতে করতে অতিরিক্ত পর্যায়ে, সহ্যের সীমা অতিক্রম করে চলে গেছো। শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি তো তোমরা করছো, এই পিচ্চি বয়সে লেখাপড়া, সবকিছু ছেড়ে রাজনীতিকে ব্যবসা বানাইছো, আরো কি কি করছো সবাই জেনে গেছে। এখনও সময় আছে, কথার লাগাম দাও, নিজেদের অস্তিত্ব এত তাড়াতাড়ি বিলীন করে দিও না। সুস্থ ধারার রাজনীতিতে তোমরা মাইলফলক স্পর্শ করতে পারবে এবং জনগনের আস্থা অর্জন করতে পারলে, আল্লাহ্ চাইলে একদিন এককভাবে নির্বাচন করে জয়ীও হতে পারবে, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু না, তোমাদের এই অবস্থায়ই ভাল লাগছে, এত বোকা কেন তোমরা!! রাজনীতি বোঝার আগেই যদি ক্ষমতার লোভে লোভী হয়ে যাও, তোমাদের ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবে না।

জনগন বলতে তোমরা কাদের বুঝাও? তোমাদের কি একটু এ্যসেসমেন্ট করার ক্ষমতা নাই? একটু স্টাডি করো, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নাও। তোমাদের বেশিরভাগ দাবীর সাথে বিএনপি একমত পোষণ করেছে, বাকীগুলো তোমরা প্রভাবিত হয়ে দাবি করেছো যা তারা পুরোপুরি মানতে পারে নাই। এমনটাই তো হবার কথা। সবার দাবী, চিন্তা, মনোভাব, এক হবার কথা না, কোনদিনও হবে না। দেশের স্বার্থে যতটুকু সংস্কার করা যায়, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং অন্যান্য বিষয়গুলো যতটা সম্ভব মানিয়ে নিয়ে নির্বাচনমুখী হও, ছোট-বড় দলগুলোর সাথে সর্বাত্মকভাবে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করো, নিজের ও দেশের উন্নয়ন তথা মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাও। তোমাদের জন্য শুভ কামনা রইলো।

বিঃ দ্রঃ লেখাগুলো আমার একান্ত ভাবনা, কারো সাথে দ্বিমত থাকলে এড়িয়ে যাবেন। অযথা আর অযাচিত মন্তব্য, তর্ক করতে পছন্দ করি না। একমত হলে কিংবা আরো কিছু সংযোজন থাকলে মন্তব্য করার অনুরোধ করছি।

সবার আগে বাংলাদেশ,
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।