মোঃ জাহিদ হোসেন জিমু-গাইবান্ধা :

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার জয়েনপুর গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা এক কিশোরী কে জোর পুর্বক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে মোঃ শহিদের ছেলে মোঃ নাইম মিয়ার(১৯) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধর্ষনের শিকার ঔই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সুত্রে জানা যায়, আনুমানিক ৫ থেকে ৬ মাস পুর্বে নাইম এক কিশোরী সাথে প্রেম করে। বাড়িতে কেউ না থাকায় সেই সুযোগে ঔই কিশোরী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর পুর্বক একাধিকবার ধর্ষন করে। ধর্ষন শেষে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে পাঠিয়ে দেয়।

এতে ঔই কিশোরী অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে। ধর্ষনের শিকার ওই তরুনীর গর্ভধারনের ফলে তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে এবং সে বিষয়টি তার বাবা মা কে জানায়। পরে তার বাবা মা ডাক্তারি পরিক্ষা করে জানতে পারে তার মেয়ে ৫ মাসের অন্তস্বত্তা। পরে ভুক্তভোগী অন্তস্বত্তা ঔই তরুণী তার প্রেমিক নাইম কে বিবাহের কথা বললে সে বাচ্চা টাকে নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। ভুক্তভোগী তুরুনী বাচ্চা নষ্টের অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে ২৪ শে মে দুপুরে ধর্ষক তুরুন নাইম ঔই ধর্ষনের শিকার তরুনী কে কৌশলে তার বন্ধুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নানা রকম বিয়ের চাটুকারি কথা বলে খাবারের সাথে বাচ্চা নষ্টের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। শেষে গত ২৬ শে মে সকালে ধর্ষনের শিকার ওই তরুনীর পেটে ব্যাথা শুরু হলে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন আনুমানিক রাত ৮ টার সময় ওই তরুনী মৃত বাচ্চা প্রসব করে। ধর্ষক তরুন নাইমের শাস্তির দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলাটি দায়ের করার পর থেকে অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় নানা রকম ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে ধর্ষনের শিকার ঔই তরুনী ও তার পরিবারের বাকি সদস্যদের কে। এ বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।