জুলফিকার আলী জুয়েল :
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকেই গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় এই তৎপরতা শুরু হয়, যা স্থানীয় মানুষ ও যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
সকাল থেকেই সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় উপস্থিত থেকে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করতে দেখা যায়। কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরাও এতে অংশগ্রহণ করে, যার ফলে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করে। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিকের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা এবং পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, "এ ধরনের সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঈদ বা জাতীয় ছুটির সময় আগাম প্রস্তুতি নিশ্চিত করা, যাতে করে যাত্রাপথে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে।"
সেনাবাহিনীর তৎপরতা স্থানীয়দের মধ্যেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এক বাসযাত্রী জানান, "আজকে যেভাবে ট্রাফিক মুভ করছে, সেটা অনেকটাই নিয়ম মেনে চলছে। সেনাবাহিনী নামায় মানুষের মধ্যে একটা শৃঙ্খলা কাজ করছে।"
অন্য এক ট্রাকচালক বলেন, "সড়কে অনিয়ম অনেক কমেছে। আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, এখন অনেক দ্রুত পার হতে পারছি।"
মহাসড়কে অবৈধ পার্কিং, উল্টোপথে চলাচল এবং অনুমোদনবিহীন যানবাহনের গতিরোধে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের একযোগে কাজ করতে দেখা গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিটের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, "সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার কাজ আমরা করছি। সেনা ও পুলিশের সহযোগী হিসেবে আমরা দায়িত্ব পালন করছি।"
সেনাবাহিনী ও পুলিশের এই যৌথ উদ্যোগ শুধু যানজটই নয়, বরং সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার মানও বৃদ্ধি করেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ ধরনের প্রস্তুতি যদি নিয়মিতভাবে বজায় রাখা যায়, তাহলে মহাসড়কে যাত্রীসেবা এবং নিরাপত্তা উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page