মোঃ আবুল কালাম-নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীঘর উত্তরপাড়া ও কান্দিপাড়া মেঘনাপাড়ের মহল্লা বাসী অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের জোর দাবি তুলেছেন, যেখানে বাংলাদেশ সরকার নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ও নদী পাড়ের প্রত্যেকটি গ্রাম এবং বসতবাড়ি সহ ফসলি জমি রক্ষার্থে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছেন,সেখানে একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মেঘনাপাড়ের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, এদিকে মাটি কাটার কারণে আশপাশের জমিন সহ বাড়িঘর হয়ে পড়েছে হুমকির মুখে, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ হিসেবে প্রত্যেক বছর নদী ভাঙ্গনে শত শত মানুষের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এবং যাদের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তারা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথের ফকির হয়ে যায়, শ্যামগ্রাম ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়া হলে,২৬মে সোমবার সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় শ্রীঘর গ্রামের উত্তর পাড়া ও কান্দিপাড়া মেঘনা নদীর পাড় থেকে বড় বড় স্টিলের ট্রলার দিয়ে একদল শ্রমিক মেঘনা পাড়ের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ট্রলার বুঝাই করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় এই মাটিগুলো শ্রীঘর গ্রামের কান্দিপাড়া প্রভাবশালী কাসেম মিয়া পিতা মৃত অলেক মিয়া ও শ্রীঘর দক্ষিণ পাড়ার আলমগীর হোসেন পিতা রেনু মিয়া, আরো জানা যায় আলমগীর হোসেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের আপন ভাই, এই দুই প্রভাবশালী মেঘনা পাড়ের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, এদের দুজনের কাছে এলাকাবাসী বারবার অনুরোধ করেন যেন মাটিকাটা বন্ধ করে, কিন্তু দুই প্রভাবশালী টাকার কাছে অন্ধ হয়ে এলাকাবাসীর কোন অনুরোধ রক্ষা করেননি, মেঘনা পাড়ের ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রভাবশালী কাসেম মিয়া ও আলমগীর মিয়া দৌড়ে আত্মগোপনে চলে যায়, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের দুজনের কাউকে ক্যামেরার সামনে আনা যায়নি। মেঘনাপাড়ের বসবাসকারী নারী পুরুষ উভয়ই সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে ক্যামেরার সামনে এসে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিনয়ের সাথে তাদের ঘরবাড়ি মেঘনা ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন, তারা আরো বলেন এভাবে যদি মেঘনা পাড়ের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে প্রতিনিয়ত মাটি কেটে নেওয়া হয় তাহলে অতি দ্রুতই আমাদের অন্যান্য জমি সহ বাড়ি ঘর মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমদ বলেন বিষয়টি আমি অবগত নয়।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page