মোঃ আবুল কালাম-নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবা নিয়ে চরম ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অতিরিক্ত বিল, ঘনঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা, নতুন সংযোগ পেতে দীর্ঘসূত্রতা এবং অভিযোগ করেও কার্যকর সমাধান না মেলার কারণে দিন দিন বাড়ছে গ্রাহকদের ক্ষোভ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল আসে অতিরিক্ত হারে, যা তাদের প্রকৃত ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কেউ কেউ বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ জানাতে গেলে নিয়ম-কানুনের এমন জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় যে অনেকেই মাঝপথেই ফিরে আসেন।
একজন গ্রাহক বলেন, মিটার আমরা নিজের টাকায় কিনলেও প্রতি মাসে ১০ টাকা করে মিটার ভাড়া কেটে নেওয়া হয়। আবার মিটার নষ্ট হলে আমাদেরই নতুন মিটার কিনতে হয়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং, যা আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগর জোনাল বিদ্যুৎ অফিসের প্রধান কর্মকর্তা বলেন,
আমাদের অধীনস্থ লাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। গাছের ডাল কাটার জন্য ১০ জন কর্মী প্রতিদিন একেক এলাকায় কাজ করছেন। শুক্রবারে কাজ বেশি করতে হয়, তাই সময় কিছুটা বেশি লাগে। একদিনে সব এলাকায় কাজ শেষ করা সম্ভব নয়, কারণ শ্রমিকরা অনেক দূর থেকে এসে কাজ করেন।
বিল বেশি আসা মিটারজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে। যাঁরা আমাদের অফিসে আসেন, তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অনেকে প্রক্রিয়াটি বুঝতে না পারায় জটিল মনে করেন।
ডাল কাটার কাজ শেষ করতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে। আমরা বছরে দু’বার এ কাজ করে থাকি। বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার বিষয়টি থানা প্রশাসন, প্রেসক্লাব ও আমাদের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।
তবে কখনো কখনো নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয় না, কারণ এটি একটি সেনসিটিভ বিষয়। এক এলাকায় লাইন বন্ধ করে অন্য এলাকায় দিতে হয়। কারেন্ট থাকলেও তা সাথে সাথে চালু করা যায় না।
গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
অভিযোগ রয়েছে, নতুন সংযোগ পেতেও গ্রাহকদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। কেউ কেউ বলছেন, ‘চেনা-পরিচিত’ ছাড়া দ্রুত সংযোগ পাওয়াও দুরূহ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডিজিটাল মিটারিং, স্বচ্ছ বিলিং প্রক্রিয়া, অভিযোগ নিষ্পত্তিতে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের সময়সূচি আগাম জানালে এই সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান সম্ভব।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page