সাইদুজ্জামান সেলিম :
মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়, তারাতো ঠিকমতো কথাই বলতে জানেনা
............. রবীন্দ্রনাথ
বিপরীতে যাঁর দানকৃত ৬০০ একর জমির উপর আজকের
➡️ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
➡️ ঢাকা মেডিকেল কলেজ,
➡️ বুয়েটের মতো
দেশের নামকরা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়িয়ে আছে, সেই শ্রদ্ধেয় স্যার সলিমুল্লাহ সাহেবের মৃত্যুবার্ষিকীতে এইসব প্রতিষ্ঠানে কোন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।
অন্যদিকে তৎকালীন সময়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাঙালি বিদ্বেষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধীতার কথা কম বেশি সবারই জানা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় শুধু কঠোরভাবে বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হননি বরং তিনি ব্রিটিশদের সাথে রীতিমতো দেন-দরবার করেছিলেন যাতে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় না করা হয়। সেসময় রবীন্দ্রনাথ এক অনুষ্ঠানে দাম্ভিকতার সাথে বলেছিলেন “মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়, তারাতো ঠিকমতো কথাই বলতে জানেনা!” অন্যত্র এক অনুষ্ঠানে এদেশের মানুষকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করে রবী ঠাকুর বলেছিলেন “সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছো বাঙালী করে মানুষ করোনি”। অথচ সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন, মৃত্যুদিন, সাহিত্য উৎসবসহ আরো অনেক আয়োজন ধুমধামের সাথে পালন করা হয়।
আর যে বঙ্গসন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপকার সেই নবাব স্যার সলিমুল্লাহকে আজকের শিক্ষার্থীদের অনেকেই চেনাতো দূরের কথা নামটাও জানেনা। আমরা এতোটা অকৃতজ্ঞ যে বলতেও লজ্জা লাগে!
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর সাথে সাথে এইসব ইতিহাস ও জানাতে হবে নতুন প্রজন্ম কে।
তথ্য চিত্রঃ
🌐 ১৮৫৪-২০২৫ ধারাবাহিক নবাবদের পদবি বহনকারী ওয়ারিশগণ ক্রমানুসারে নিচে দেয়া হল⬇️
১. নবাব খাজা আব্দুল আলিম উল্লাহ
সময়কালঃ ১৮৪৩-১৮৪৬
২. নবাব স্যার খাজা আব্দুল গণি
সময়কালঃ ১৮৪৬-১৮৯৬
৩. নবাব স্যার খাজা আহসান উল্লাহ
সময়কালঃ ১৮৯৬-১৯০১
৪. নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর
সময়কালঃ ১৯০১-১৯১৫
৫. নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ বাহাদুর
সময়কালঃ ১৯১৫-১৯৫৮
৬. নবাব খাজা মেজর হাসান আসকারী
সময়কালঃ ১৯৫৮-১৯৭৪
৭. নবাব ড. খাজা ইকবাল আহসান উল্লাহ
(বর্তমান নবাব এস্টেট ও ওয়াকফ্ এস্টেট এর মোতাওয়াল্লী স্যার)
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ৬৫০৪/২০১১ নং ও ৫৭৬৯/২০১৬ নং রিট পিটিশন মোকদ্দমায় মাননীয় আদালতের গত ২৫/১১/২১ ইং তারিখের রায় ও ১৫/১২/২১ ইং তারিখের আদেশের আলোকে নবাব ড. খাজা ইকবাল আহসান উল্লাহ কে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করা হয়। ওয়াকফ্ প্রশাসক এর স্বাক্ষরে নিয়োগ লেটার ইস্যু করা হয় ১৯/১২/২০২১ইং এবং স্মারক নং-১৬.০২.০০০০.০১৩.৩১.০৪৪.১৮.৬৩
🌐 সারাদেশব্যাপী প্রায় ১৯ লক্ষ ৩৩ হাজার একর ক্রয়কৃত ও ওয়াকফকৃত নবাবদের এই সম্পত্তি ছরিয়ে আছে সারাদেশ ব্যাপী। যেগুলো বেশিরভাগি বেদখল ও রেকর্ড লুট হয়েছে অসাধু সরঃ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায়, এমতাবস্থায় নবাব স্যার সারাদেশব্যাপী নবাব এস্টেট ও ওয়াকফ এস্টেট এর সমন্বয় করার জন্য দায়িত্ব দেন একটি প্রতিষ্ঠান কে যার নাম "রয়েল নওয়াব এস্টেট হাউজিং লিঃ"
রয়েল নওয়াব এস্টেট হাউজিং লিঃ এর কাজ কিঃ
১. তথ্য সংগ্রহ, মামলা পরিচালনা এবং সারাদেশব্যাপী অবৈধভাবে দখল থাকা জমি গুলো উদ্ধার।
২. এস্টেটের প্রয়োজনে আইনের ভিতরে কিছু জমি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহে সহযোগিতা করা।
৩. বাকী জমিগুলোকে উন্নয়ন ঘটিয়ে এই সম্পদকে ইনকাম ওরিয়েন্টেড করে দেশ জাতীর কল্যান আর বিশেষ ভাবে ওয়াকিফ এর দিকনির্দেশনা অনুযায়ি ইসলামের কল্যাণে কাজে লাগানো।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page