গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের আতংক সামাউন সজিব।সাধারণ মানুষকে হুমকি, ধমকি, হামলা , মামলার ভয় দেখিয়ে বরমীতে ত্রাশ সৃষ্টির পায়তারা করছে এই সামাউন।
সামাউন সজিব নিজেকে ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে সম্প্রতি। কিন্তু তার রাজনৈতিক ইতিহাস দেখলে দেখা যায়, ১৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখ প্রকাশিত বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটিতে দল সামাউনকে সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করে। কিন্তু, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ১৯ নভেম্বর ২০২১ ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করে। এরপর নিরব থাকে বেশ কিছুদিন। জুলাই আন্দোলনে আবার দেখা মেলে সামাউনের। ৫ আগস্টের পর থেকে সামাউনের চলাফেরা শুরু হয় এনসিপির নেতাদের সাথে। এরই ধারাবাহিকতায় সামাউনকে এনসিপির কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক পার্টির ৫৬ নং সদস্য হিসেবে সামাউনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি থেকে নিয়ম মেনে পদত্যাগ করলেও এনসিপি থেকে এমন কিছু লক্ষ করা যায় নি।
সম্প্রতি সামাউন নিজেকে ছাত্রদলের কর্মি দাবি করে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। সেখানে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মিরা সামাউনের অপরাধমূলক কাজের প্রতিবাদ করলে নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী কে দায়ী করে নানা ধরনের পোস্ট ও লাইভ করছে। যা মূলত বিএনপির নামে অপপ্রচার হিসেবে গন্য করছে স্থানীয়রা। এছাড়াও তার অপরাধ মূলক কাজের প্রতিবাদ করলেই বিএনপির নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা করার হুমকি দিচ্ছে সম্পতি।
গত ২৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ ম্যাক হ্যাচারি ইউনিট ২ এর সামনে অস্ত্র মহড়া করতে এসে দেশীয় অস্ত্রসহ জনতার হাতে আটক হয় সামাউন। এরপর ৯৯৯ এ কল করে সামাউনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন এলাকাবাসী।
গত ৪ মে ২০২৫ সকাল থেকে দেশীয় অস্ত্র সহ শিমুলতুলি এলাকায় অবস্থান করে সামাউন। সেখানে ম্যাক হ্যাচারীর নির্মানাধীন ভবনের কাজের জন্য আনা ঢালাই এর গাড়ি প্রায় ৩ ঘন্টা আটকে রাখে সামাউন। এরপর ম্যাক হ্যাচারী কর্তিপক্ষের হস্তক্ষেপে গাড়িটি ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। সেদিন দুপুর অনুমান ১২:৩০ মিনিটে রনি আহমেদ নামক এক যুবক মোটরসাইকেল যুগে মুরগির খাদ্য কিনতে যাওয়ার সময় মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে রনিকে মারধর করে সামাউন ও তার বাহিনী। এরপর রনিকে অগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা মুরগির খাদ্য ক্রয়ের টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং রনির ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে। এই ব্যাপারে রনি বাদি হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একইদিনে সামাউন তার ফেইসবুক পোস্টে গুলির খুসা পাওয়া গেছে বলে খুসার ছবিসহ একটি পোস্ট করে।কিন্তু সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সেখানে গুলি ছোড়ার ঘটনা স্থানীয় কেও জানেন না। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়, গুলির খোসা আসলো কোথা থেকে ❓
বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসরাক একান্ত জানান, সামাউন সজিব ছাত্রদলের কেও না। দলের দূর সময়ে সে ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করে। এরপর থেকে আর ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত থাকেনি। বর্তমানে সে বিভিন্ন প্রকার অপকর্মের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য নিজেকে ছাত্রদলের কর্মি হিসেবে দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য সামাউন সজিবের নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও কল রিসিভ করেনি সামাউন।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page