নাইম-পোরশা (নওগাঁ) :
নওগাঁর পোরশায় একই বাড়িতে আপন দুই ভাইবোনকে স্বর্ণের লোভে হত্যা করে ধর্মছেলে হিসেবে গ্রহণ করা নুরুন্নবী (৩৫)।
খুনি নুরুন্নবী উপজেলার বানমহন গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। সে পোরশা সদরের গবিরাকুড়ি কদুপনাপাড়ায় বিয়ে করে একযুগ ধরে ঘরজামাই হিসাবে বসবাস করে আসছিল। হত্যাকাণ্ডের পর নুরুন্নবী প্রায় দেড় মাস পলাতক ছিল। গতকাল সকালে টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার পোরশা পূর্ববাড়ি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেন শাহর সন্তান নূর মোহাম্মদ (৫৫) ও রেজিয়া খাতুন (৫৮) একই বাড়িতে বসবাস করতেন।
রেজিয়া খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা। তার কোনো সন্তান ছিল না। এ জন্য তিনি নুরুন্নবীকে ধর্মছেলে হিসেবে গ্রহণ করেন। সেই থেকে রেজিয়ার বাড়ি যাতায়াত ছিল তার। একদিন রেজিয়ার কাছে কিছু স্বর্ণ দেখে লোভে পড়ে নুরুন্নবী। স্বর্ণগুলো পেতে কৌশলে গত ৭ এপ্রিল বাড়িতে ঢুকে রেজিয়া খাতুন ও তার ভাই নুর মোহাম্মদকে হত্যা করে নুরুন্নবী। হত্যার পর রেজিয়ার গলার হার ও কানের দুলসহ বেশ কিছু স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় নিহতদের বড় ভাই ফজলে আহম্মাদ পোরশা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পোরশা থানার ওসি আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, সোমবার সকালে টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানার বয়রাতৈল ইউনিয়নের বেটুয়া পশ্চিমপাড়ার জনৈক সুরুজ মিয়ার ফার্নিচারের দোকান থেকে নুরুন্নবীকে আমরা আটক করি। এ সময় তার কাছে থাকা স্বর্ণ বিক্রির ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আমরা জব্দ করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরুন্নবী খুনের কথা স্বীকার করেছে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page