নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় চার মাস পর দেশে ফিরে আসার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অনেকেই দলীয় প্রধানকে একনজর দেখতে তাঁর বাসভবন ফিরোজার সামনে আসছেন। তবে সাক্ষাতের সুযোগ না পেলেও স্মৃতি ধরে রাখতে কেউ কেউ সেই বাড়ির সামনে ছবি তুলছেন।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার সামনে অবস্থান করে দেখা যায়, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা মূল ফটক ও ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন। পাশাপাশি কয়েকজন পুলিশসদস্যও বাসভবনের সামনে ও আশপাশে রয়েছেন।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারকে ফিরোজায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে তিনি ছাড়া দলের বা বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
বেলা সোয়া দুইটার দিকে ফিরোজার সামনে আসেন দুই নারী। তাঁরা ফিরোজার ছবি তুলেন ও ভিডিও করেন। পরে আলাপে জানা যায়, দুজনই এসেছেন বাগেরহাট থেকে। এর মধ্যে একজন বাগেরহাট পৌর মহিলা দলের সভাপতি তাসলিমা বেগম। আরেকজন একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফাতেমা পান্না।
কেন এসেছেন জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, কেবল ম্যাডামকে শুভেচ্ছা জানাতেই ৪ মে ঢাকায় এসেছেন। গতকাল বিমানবন্দর থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলশানে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার বাসার পাশেই এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। বিএনপির প্রতি আবেগ ও দলীয়প্রধান খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই ফিরোজার সামনে এসেছেন। তাঁরা জানেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হবে না, এরপরও তিনি যেখানে থাকেন, সেই বাসা দেখতে এসেছেন।
ফাতেমা পান্না দৈনিক জন জাগরণ কে বলেন, ‘হয়তো ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে পারব না। অন্তত যে বাড়িতে থাকেন, সেটা দেখে যাই। ম্যাডামের সাক্ষাতের সুযোগ পেলে এমন আনন্দ হতো, হয়তো তা আর ভাষায় প্রকাশ করতে পারতাম না।’
যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দেশে ফেরেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে তাঁর বাসভবন ফিরোজায় আসেন। বিমানবন্দর থেকে ফিরোজায় যাওয়ার সময় পথে পথে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে তিনি ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেদিনই তাঁকে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালে টানা ১৭ দিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৫ জানুয়ারি তিনি হাসপাতাল থেকে লন্ডনে তাঁর বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় যান। এই বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জন জাগরণ কে বলেন, চেয়ারপারসন তাঁর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বাসায় বিশ্রামে আছেন। তিনি বলেন, ফিরোজার সামনে বা আশপাশে ভিড় না করতে দলের নেতা–কর্মীদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page