জুলফিকার আলী জুয়েল :
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার এক প্রবাসী স্বামীর কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা স্বর্ণালংকার ব্যাংকের চেক ও ঘরের জিনিষ পত্র সহ প্রায় ২০ (বিশ) লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী আবেদা আক্তারের বিরুদ্ধে।
এ বিষয় নিয়ে মোছাঃ আবেদা আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ প্রতারণার অভিযোগ এনে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী মোঃ মনছুর আলম বাদী হয়ে থানা ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মোঃ নুরুস সাফার ছেলে প্রবাসী মনছুর আলম দুবাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার সুবাদে দীর্ঘদিন দুবাইতে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রবাসী হয়ে অবস্থান করতেন। মোছাঃ আবেদা আক্তার পূর্বে কয়েকটি বিয়ে করেছে একথা গোপন রেখে প্রবাসী মোঃ মনছুর আলমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করেন। প্রবাসী মোঃ মনছুর আলম আবেদা আক্তারের পূর্বের বিয়ের কথা জানতেন না। এ বিষয়ে আবেদা আক্তারের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে কল করলে তিনি কোন বিষয়ে কথা বলতে রাজি না।
সংবাদকর্মীকে মোঃ মনছুর আলম বলেন, মোছাঃ আবেদা আক্তার আমার স্ত্রী, বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর। গত ০৬ বছর আগে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিবাহ হয়। আমাদের ০৫ বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান আছে। সংসার জীবনে মাঝে মধ্যে আমাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। আমি গত ০৪ বছর আগে দেশের বাইরে দুবাইতে চলে যাই। পরবর্তীতে গত ০১ বছর আগে আমার স্ত্রী ও ছেলেকে দুবাইতে নিয়ে যাই। পরবর্তীতে বিবাদী আমার সাথে দুবাইতে প্রায় সময় অকারণে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে, গত ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে দুবাই থেকে আমার স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে দেশে ফিরে আসে। পরবর্তীতে ঝামেলা মীমাংসা করার জন্য ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে আমি দেশে ফিরে আসি ও আমাদের দুই পক্ষের পরিবার বসে আমাদের ঝমেলা মীমাংসা করে দেয়। গত ২৯শে জানুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে আছে। খুঁজে দেখি আমার স্ত্রী বাসার কোথাও নেই। স্ত্রীর নাম্বারে কল করলে কল কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীত দেখতে পারি আমার ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণ, ব্যাংকের চেক বই ও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সকল কাগজপত্র নিয়ে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী কাদের মার্কেট ভাড়া বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হইয়া যায়। আমি সম্ভাব্য সকল আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খোঁজখবর নিয়েও আমার স্ত্রীর কোন সন্ধান পাই নাই। তার কয়েক মাস পর সে আমাকে না জানিয়ে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেয়। আমি সে ডিভোর্স পেপারে সই করি নাই।
ভুক্তভোগী মনসুর আলম বলেন আমি রাষ্ট্রের কাছে এর সঠিক বিচার চেয়ে আমার স্ত্রী সন্তান নগদ অর্থ স্বর্ণালংকার সহ ফিরে পেতে চাই।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page