চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন কে সভাপতি, শওকত মাহমুদকে মহাসচিব করে জনতা পার্টি বাংলাদেশ গঠন -

নিজস্ব প্রতিনিধি, হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল, ঢাকা।

আওয়ামী সরকার পতনের পর নতুন দল ঘোষনার যেন হিড়িক পড়ে যায়! ৫ই আগষ্ট বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এ পর্যন্ত ২৭টি নতুন দলের আত্বপ্রকাশ ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৫শেহ এপ্রিল ২০২৫ এ আত্বপ্রকাশ ঘটল জনতা পার্টি বাংলাদেশ নামক নতুন দলের।

একটি বিষয় লক্ষনীয়। নতুন দলগুলো পুরণো কিছু দলছুট নেতা, বহিস্কৃত নেতা, সাবেক আমলা, ব্যবসায়ী, সাবেক এমপি, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে সার্বজনীন কমিটি গঠনে সচেষ্ট।

আর নতুন দল গুলোর আত্বপ্রকাশ ঘটছে ঘটা করে বিলাষী পাঁচ তারকা হোটেল কিংবা মানিক মিয়া এভিনিউর মত রাজপথে। প্রচুর অর্থ ব্যয়ে জমকাঁলো আত্বপ্রকাশ উত্তর গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় তৃণমূলে সদর্পে টিকে থাকুক এটাই প্রত্যাশা।

সদ্য আবির্ভূত দলে অনেককেই দেখলাম বহু দলবদলের ইতিহাস সৃষ্টিকারীদের সন্নিবেশ।

জনমনে তাদের নিয়ে নানা প্রশ্ন! তবে নতুন দলের নেতৃত্বে যিনি এসেছেন তিনি তুলনামূলক ভাবে অনেকের কাছেই গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব।

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পুরোধা বিশিষ্ট চলচিত্র অভিনেতা জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে এবার সম্পৃক্ত হলেন সরাসরি রাজনীতিতে।

স্বাগতম ইলিয়াস কাঞ্চন। সাবেক আমলা (কর কমিশনার) আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি বন্ধুবর কমরেড মো: আসাদুজ্জামান যুক্ত হয়েছেন নতুন দলে এবং যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্বও পেয়েছেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গনতন্ত্রের দর্শনে সবাইকে মুক্তবাক স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে গনতন্ত্র আরো মজবুত হোক এ কামনা আপামর জনতার!

এ দল যেন শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক স্বার্থ হাসিলের জন্য না নয়। এ দলকে টিকে থাকতে হবে স্বৈরাচার বিরোধী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শোষনমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে।