নোয়াখালী সদর উপজেলায় ছাত্রীকে (১৪) অপহরণ করে ধর্ষণের চার বছর পর গৃহশিক্ষক মো. সুজনকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-৩ এর সদস্যরা।
বুধবার ১৯ মার্চ রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাশপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. সুজন সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হেঞ্জু মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে আসামি সুজন অসৎ উদ্দেশ্যের লক্ষ্যে ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতো এবং গোপনে চট্টগ্রামে বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুাব দেয়। বিষয়টি পরিবার টের পেয়ে প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করে দেয় এবং মেয়ের মানসিকতার বিষয় বিবেচনা করে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর জন্য পাঠিয়ে দেয়।
২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর আসামি সুজন ভুক্তভোগীকে আত্মীয়ের বাসা থেকে প্রলোভন দেখিয়ে ফেনী জেলায় নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর বাবা তার মেয়েকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একসময় ফেনী জেলায় আছে বলে খবর পায় এবং সেখান থেকে আসামিসহ বিনোদপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে নিয়ে আসে। আসামি সুজন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ওই ছাত্রীকে তার স্ত্রী বলে দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা মামলা দায়ের করলে আসামি সুজন আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ চার বছর পর আসামির অবস্থান টের পেয়ে র্যাব-১১ সদস্যরা এখলাশপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সুধারাম মডেল থানায় সোপর্দ করেন।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামি দীর্ঘ চার বছর আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর সে সকল কিছু স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করে আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page