গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় প্রায় ১২টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার ১৭ মার্চ সকাল ৮টা থেকে মীম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে প্রায় দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ভোগড়া এলাকায় অবস্থিত মীম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ ছাড়া আশপাশের কয়েকটি কারখানায় ঢিল ছুড়ে ও ভাঙচুরের চেষ্টা করে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করতে বলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
শ্রমিকরা জানান, ফেব্রুয়ারির বেতন এখনো তারা পাননি। বাড়িভাড়া দিতে পারছেন না, বাজার করতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। মালিকপক্ষ শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু টাকা দিচ্ছে না। বেতন ছাড়া সংসার চালাব কীভাবে জানতে চান তারা।
শ্রমিকরা বলেন, বাচ্চার স্কুলের বেতন দিতে পারিনি, দোকানে ধার নিয়েছি। এখন তারাও আর বাকিতে কিছু দিচ্ছে না। আমরা পরিশ্রম করি, অথচ সময়মতো বেতন পাই না। বাধ্য হয়েই আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ওয়াহিদুজ্জামান রাজু জানান, শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ ছিল। এ ঘটনায় ১০-১২টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২-এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, মীম গার্মেন্টস্-এর শ্রমিকরা অবরোধের সময় পাশের শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসেন। এ সময় প্রায় ১০টির মতো কারখানার শ্রমিকরা বেরিয়ে আসে। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়ে গেলে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে ফের উৎপাদন শুরু হয়। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page