অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে-মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
ক্রাইম রিপোর্টারঃ
অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে,মুন্সীগঞ্জের চর মুক্তারপুর এলাকায়,হত্যা চেষ্টা, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলার আসামী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা,ইসমাইল দেওয়ান ও রওশনকে গ্রেফতার করায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।গত বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে এ দুজনকে আটক করা হয়,পরে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে তাদের।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাইফুল আলম। তিনি জানান,অপারেশন ডেভিল হান্টের নিয়মিত অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আটক করে,নেয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।গ্রেপ্তারকৃত এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।এদিকে পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করার পাশাপাশি এলাকায় মাদকের রাজত্ব গড়ে তুলেছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী।এ বিষয়ে বিগত সময়ে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দারস্ত হয়ে লিখিত অভিযোগ সহ মামলা দায়ের করা হলেও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায়, সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে,নিরীহ মানুষের উপর নির্বিচারে প্রতিনিয়ত চালিয়েছে নির্যাতন।স্থানীয় সূত্রে আরও জানান গেছে,বিগত স্বেরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দীর্ঘ ১৬ বছর পশ্চিম মুক্তারপুরের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম ছিলো ইসমাইল দেওয়ান ও রওশন।
মুন্সীগঞ্জ- ৩ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের নেতৃত্বে ওই এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছিল সঙ্ঘবদ্ধ চক্র।যাদের মাধ্যমে সংঘটিত হতো স্থানীয় মিল কারখানা সহ বিভিন্ন ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি,বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা।স্থানীয় ভুক্তভোগীরা আরও,অভিযোগ করেন,প্রায়ই প্রভাবশালীদের পক্ষ নিয়ে মানুষের জমি দখল চাঁদাবাজী,হত্যা চেষ্টা ও ধর্ষণের মতো কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকতো এই চক্রের এ দুই সদস্য।
বিশেষ করে পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার বড়বড় কোম্পানি গুলোর পক্ষে কাজ করতেন এরা।টাকার বিনিময়ে অসহায় মানুষের জমি দখল চাঁদাবাজি নিত্যদিনের পেশা ছিলো এদের। ওই এসব বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে হত্যা সহ নারী ধর্ষণের মতো ঘটনো হতো।বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়েছিল বিভিন্ন সময়।তবে নীরব ভূমিকায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এছাড়াও ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীতে যাতায়েত কৃত ও নোঙ্গরকৃত নৌযান থেকে মাসের মোটার অংকের টাকা উত্তোলন করতেন।এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো কেউ ছিলেনা।তাই দীর্ঘ অপেক্ষার পরে হলেও তাদের আটকের খবর উচ্ছাসিত এই এলাকার সাধারণ মানুষ।
ছবির ক্যাপশন:অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে গ্রেফতারকৃত দুজনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংগ্রহীত।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page