চাদঁপুরের রাজাকার দুলাল খাঁ
ঢাকায় এসে আবুল কালাম আজাদ নাম ধারন করে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের আহবায়ক !
জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির লোভী আবুল কালাম আজাদ ( চাঁদপুরের দুলাল রাজাকার ) ঢাকায় এসে সে এখন জননেতা আবুল কালাম আজাদ !
এই আবুল কালাম আজাদ তাঁতী দলের কমিটি বানিজ্যের মূল হোতা।
সে এমন এক মেশিন। যার হাত ধরলেই আওয়ামী লীগ নেতা থেকে রাতারাতি হওয়া সম্ভব তাঁতী দলের নেতা। যার প্রমান সদ্য ঘোষিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী দলের আহবায়ক কমিটি । সেখানে সদস্য সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম এর একনিষ্ঠ কর্মী ও আওয়ামী লীগ এর কুখ্যাত খুনী ছাত্র জনতা হত্যার রক্তে রঞ্জিত হাত আবুল কাশেম পাটোয়ারীকে। সদ্য ঘোষিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি বানিজ্যে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই রাজাকার দুলাল খাঁ ওরফে আবুল কালাম আজাদ কাশেম পাটোয়ারী কে সদস্য সচিব পদ দিয়েছে।
একই কমিটিতে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী ওলামা লীগ এর সহ সভাপতি (হাফেজ মাওলানা) কাজী সাইফুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে পদায়ন করেছে।
যাদের হাত বিএনপি'র নেতাকর্মীদের রক্তে রন্জিত গনহত্যাকারী হিসেবে তাদেরকে ডেকে এনে আবুল কালাম আজাদ টাকার বিনিময়ে পদ বানিজ্য করছেন।
উক্ত আবুল কালাম আজাদ ঢাকার মিরপুর এর শেওড়া পাড়ায় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নাজমা ফার্নিচারের মালিক মোঃ হানিফ এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভূমির মালিককে মামলার ফাঁদে ফেলে মডার্ন উড কিং নামে গত ১৬ বছর ফ্যাসিষ্ট খুনী হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে ফার্নিচারের রমরমা ব্যবসা করে আসছেন।
এই আবুল কালাম আজাদ ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারের ভূমিকায় ছিলেন। তার পিতৃ প্রদত্ত নাম ছিল দুলাল খাঁ ! যা চাঁদপুরে দুলাল রাজাকার হিসেবে পরিচিত। তার স্বাধীনতা বিরোধী ভুমিকার কারনে সে ১৯৭১ সাল হতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নিজ জন্মস্থান চাঁদপুরে যেতে পারেনি।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বোকা বানিয়ে এই আবুল কালাম আজাদ ২০১৯ সালের এপ্রিলে গঠিত ৩ মাস মেয়াদী কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির আহ্বায়ক হন। তিন মাস মেয়াদী কমিটি হলেও ইতিমধ্যে ০৭ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কিভাবে উক্ত আবুল কালাম আজাদ পুরাতন কমিটি ভেংগে টাকার বিনিময়ে নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব তারেক রহমানসহ উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পরিশেষে, উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি যে, এই অযোগ্য, অথর্ব ও কমিটি বানিজ্যের হোতা আবুল কালাম আজাদ ও তার গংদের তাঁতীদল থেকে বিতাড়িত করে হামলা মামলা ও জেল জুলুম এর শিকার, সুশিক্ষিত ও দূর্নীতি মুক্ত নেতৃবৃন্দের দ্বারা নতুন কমিটি উপহার দিয়ে তাঁতীদলকে রাহুমুক্ত করার অনুরোধ করছি।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরো জানাচ্ছি যে, আবুল কালাম আজাদ ওরফে দুলাল খাঁর বিষয়ে আরো অনেক তথ্য রয়েছে স্বল্প পরিসরের কারনে আপনাদের দফায় দফায় আপনাদের জানানো হবে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page