চট্টগ্রাম আদালতের অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১১ আসামি আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- প্রেমনন্দন দাশ বুজা , রনব দাশ , বিধান দাশ , বিকাশ দাশ , রুমিত দাশ , রাজ কাপুর , সামির দাশ , শিব কুমার দাশ, ওম দাশ, অজয় দাশ ও দেবী চরণ ।
এর আগে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় ১১ আসামিদের গ্রেপ্তার করে গত ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরবর্তীতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত আসামিদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আজ (সোমবার) কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন (২৭ নভেম্বর) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
এক পর্যায়ে ওই দিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়৷
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page