দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে ৪২ রোহিঙ্গা অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় থালাং জেলায় আটক হন তারা।
মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশ থেকে বের হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পর থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ থালাং জেলায় ৪২ জন রোহিঙ্গা অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
মূলত দ্বীপটির তাম্বন মাই খাওতে সাই কায়েউ সৈকতের সামনে একদল লোককে দেখতে পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় কর্মকর্তাদের এবং পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিবাসীদের ক্লান্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে থা চাট চাই থানায় নিয়ে যাওয়ার আগে তাদের খাবার খেতে দেওয়া হয়।
এছাড়া পরে অবৈধ অভিবাসীদের অন্য একটি দলকে ফাংঙ্গা প্রদেশের থা নুনে হাঁটতে দেখা গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফুকেটের সারাসিন সেতুতে তাদের দেখা যায়। প্রথম দলে ১৯ জন পুরুষ এবং ২৩ জন নারী ছিলেন, যার মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী ১২ শিশুও রয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, উদ্ধারকৃতদের বেশিরভাগই “দুর্বল এবং শীর্ণ” অবস্থায় ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিবাসীরা স্থানীয় পুলিশকে জানায়, তারা ৭৫ জনের একটি দলের সাথেই ছিল যারা গত ১৬ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে রওনা করে। পথিমধ্যে বিবাদ শুরু হয় এবং তাদের জাহাজ ছেড়ে চরে যেতে বলা হয়। তাদের বহনকারী নৌযানটি পণ্যবাহী জাহাজ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
পরে তারা ফুকেটের কাছে ফাংঙ্গার একটি সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য ছোট নৌকায় ওঠেন। এসব অভিবাসীদের কেউ অসুস্থ এবং অঅবার কেউ গর্ভবতী। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সবাইকে পুলিশ হেফাজতে আটক রাখা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের এই দলটি একজন অনুবাদকের মাধ্যমে পুলিশকে বলেছে, যাত্রার সময় জাহাজে থাকা কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গারা জাতিগতভাবে মুসলিম এবং তারা তাদের মাতৃভূমি বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এরই জেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ক্যাম্পে পালিয়েছেন এবং অন্যরা থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এজন্য তাদের অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক সমুদ্র যাত্রা করতেও দ্বিধা করছেন না।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page