কক্সবাজার সৈকতজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। সাপ্তাহিক ছুটিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে সমুদ্র শহর কক্সবাজার। শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোথাও কোনো খালি কক্ষ নেই।
বেড়াতে আসা এসব পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সমুদ্রসৈকত, সেন্টমার্টিন, ইনানী পাথুরে বিচ ও মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ও আজ শনিবার সকাল থেকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বালিয়াড়িতে ভিড় করেছে লাখো পর্যটক। বালিয়াড়ির সামনে নীল জলরাশিতেও মানুষের ভিড়। সবাই মেতেছেন বাঁধভাঙা আনন্দ-উল্লাসে।
কক্সবাজার কলাতলী–মেরিন ড্রাইভ হোটেল–রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি মুকিম খান বলেন, “পর্যটন মৌসুম বহু আগে শুরু হলেও সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে বিধিনিষেধ থাকায় এতদিন পর্যটন ব্যবসা জমেনি। ডিসেম্বরের শুরুতে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু হলে চাঙ্গা হয়ে উঠে পর্যটন শিল্প। এর ফলে বেড়েছে পর্যটক। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে।”
কক্সবাজার হোটেল–মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, “চাহিদা বেশি থাকলেও সেন্টমার্টিনে দৈনিক মাত্র দুই হাজার পর্যটক যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এ কারণে আগ্রহ থাকলেও অনেক পর্যটক এ বছর কক্সবাজারে আসছে না। তবে ভারতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকায় সেই শূন্যতা অনেকটা পূরণ হয়েছে। ভারত যেতে না পেরে অনেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসছেন।”
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের আগমন হয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শহরের বার্মিজ সামগ্রীর দোকানি তৈয়ব বলেন, ‘কক্সবাজারের পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে। বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে পর্যটকরা আমাদের দোকানে এসে বার্মিজ পণ্য ও আচার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে ব্যবসা ভালো হওয়াতে আমরা খুবই খুশি।’
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, মহেশখালী ও রামু বৌদ্ধ বিহারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page