কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার ১৬ ডিসেম্বর এই ঘোষণা দেন তিনি।
আর এটাকে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড সোমবার তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-আরোপের হুমকির জবাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
বিবিসি বলছে, সোমবার ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। সেখানে তিনি তাদের দুজনের “কানাডার জন্য সর্বোত্তম পথের বিষয়ে মতবিরোধে” এবং ট্রাম্পের “আক্রমণাত্মক অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ” নীতির জেরে উত্থাপিত “গুরুতর চ্যালেঞ্জের” দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
ফ্রিল্যান্ড বলেন, গত সপ্তাহে ট্রুডো তাকে জানিয়েছিলেন- তিনি আর তাকে তার সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা দেখতে চান না এবং এরপরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সংসদে বার্ষিক আর্থিক সরকারি আপডেট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের এই খবর সামনে এলো। এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নড়বড়ে অবস্থানে থাকা ট্রুডোর সরকারকে আরও বিপদের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে পারে। নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো পদত্যাগের ক্রমবর্ধমান আহ্বানের মুখোমুখি হয়েছেন। পোল ট্র্যাকার অনুসারে, তিনি যখন প্রথম নির্বাচিত হন তখন লিবারেল এই নেতার জনপ্রিয়তার হার ৬৩ শতাংশ থাকলেও সেখান থেকে হ্রাস পেয়ে চলতি বছরের জুনে তা ২৮ শতাংশে নেমে গেছে।
এদিকে সোমবার ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর পাঁচ জন লিবারেল এমপি প্রকাশ্যেই ট্রুডোকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page