বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পরও মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় অবস্থান করবে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ।
বুধবার ১১ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ইসলামিক স্টেটে যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পরও মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় থাকবে।
দিকে মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার নিউইয়র্কে রয়টার্স নেক্সট কনফারেন্সে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এই সেনারা খুব নির্দিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণে সেখানে আছে, কোনো ধরনের দর কষাকষির জন্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন সেনারা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এক দশক বা তারও বেশি সময় ধরে সেখানে রয়েছে...আমরা এখনও সেই মিশনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মার্কিন সেনারা অবস্থান করছে কিনা সরাসরি জানতে চাইলে ফিনার হ্যাঁ সূচক জবাব দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট সিরিয়া এবং ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে এবং ২০১৯ সালের মধ্যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে পরাজিত হওয়ার আগে সেখানে ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) সরকারবিরোধী অন্য গোষ্ঠীগুলোকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ১২ দিনের অভিযানে রোববার দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাশার আল–আসাদের সরকারের পতন ঘটায় তারা।
রোববার রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে’ বাশার ও তার পরিবারকে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর বাশার পদত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন। ‘শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর’ করতে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতি সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার ঝুঁকিতে রয়েছে সিরিয়া। ইসরাইল আসাদের পতনে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের অবস্থান আরো সুসংহত করেছে। এরইমধ্যে সিরিয়া সীমান্তের অভ্যন্তরে ইসরাইলের সামরিক অবস্থান ও দখলের নিন্দা জানিয়েছে কাতার, তুরস্ক এবং মিশর।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page