পাকিস্তানকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছেন বাংলাদেশ যুবারা। দুবাইয়ে মারুফ মৃধা-ইকবাল হোসেন ইমনদের বোলিং তোপে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ১১৬ রানে গুটিয়ে যান পাকিস্তান যুবারা। ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ বল হাতে রেখে অনায়াসে ১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) যুব এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় যুব টাইগাররা দেখেশুনে শুরুর পর স্ট্রাইকরেট বাড়িয়েছেন প্রয়োজনমতো। মাত্র ৩৯ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন গ্রুপপর্বে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করা তামিম। ফলে বাংলাদেশও ওয়ানডে ফরম্যাটের ম্যাচটি মাত্র ২২.১ ওভারেই জিতেছে।
পাকিস্তানি যুবাদের লক্ষ্য তাড়ায় টাইগারদের শুরুটা ছিল খুবই ধীরগতির। অবশ্য পাকিস্তানি বোলারদের বোলিং তোপও ছিল দেখার মতো। ফলে প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান তোলে। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ২০ রানে আউট হয়ে যান ওপেনার কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন। ১৪ বল খেলেও তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ১৭ রানে বিদায় নেন দলীয় ২৪ রানে।
তৃতীয় উইকেটে তামিম ও শিহাব জেমসের জুটিতে সে ধাক্কা সামলে ওঠে বাংলাদেশ। ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৮৫ রানে ফেরেন শিহাব। স্পিনার নাভিদ আহমেদ পাকিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দিলেও ম্যাচ তখন অনেকটাই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ২৬ রান এসেছে শিহাবের ব্যাট থেকে। চতুর্থ উইকেটে রিজান হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ২২.১ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলি রাজা, আবদুল সুবহান ও নাভিদ আহমেদ খান। শুরুতে তারা ইকোনমিক্যাল থাকলেও, তাদের ওপর মূল চাপটা ব্যাটাররাই তুলে দিয়েছেন বড় পুঁজি তুলতে ব্যর্থ হওয়ায়।
এর আগে দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন ফারহান ইউসুফ। বাংলাদেশের হয়ে ২৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ইমন। পাকিস্তান শুরু থেকেই বাংলাদেশের পেসে ভুগেছে।
নতুন বলে দুর্দান্ত বোলিং করেছে ইমন-মারুফ জুটি। মারুফ নিয়েছেন ২ উইকেট, আল-ফাহাদ ও দেবাশীষ দেবা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটি শিকার ধরেন।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page