সিরিয়ার আলেপ্পো শহর দখল করে নিয়েছে বিরোধী ইসলামী গোষ্ঠী এইচটিএস। আর এবার তার পাশেই হামা অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে তাদের।
যদিও এলাকা পুনর্দখলের জন্য বিপুল পরিমাণ সেনাসদস্য পাঠিয়েছেন সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান বাশার আল আসাদ। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হামায় এই সেনা পাঠানো হয়েছে।
বুধবার থেকে সেখানে ইসলামিক বিরোধী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এইচটিএস-ও জায়গা ছাড়তে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় নতুন করে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এইচটিএস আল কায়দা থেকে উদ্ভূত একটি গোষ্ঠী। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তারা শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করেছে। সেই শক্তি নিয়েই তারা আলেপ্পো অঞ্চল দখল করে ফেলেছে।
সিরিয়ার হামা অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই শহরের মাধ্যমেই আলেপ্পোর সঙ্গে রাজধানী দামাস্কের সংযোগ স্থাপন সম্ভব। ফলে আসাদ সরকার হামা কোনোভাবেই দখল হতে দিতে চায় না। অন্যদিকে এইচটিএস-এর পরবর্তী লক্ষ্য হামা দখল। হামা দখল করতে পারলে দামস্কের খুব কাছে পৌঁছে যেতে পারবে তারা।
এদিকে যতটা শক্তি নিয়ে প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী পাল্টা আক্রমণে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল, বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘ প্রায় দেড় দশকের গৃহযুদ্ধে কার্যত ভেঙে পড়েছে সিরিয়া। আসাদ এখনও গোটা দেশে নিজের প্রতিপত্তি প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও আলেপ্পোর দিকে তার এখন কার্যত কোনও ক্ষমতা নেই।
অন্যদিকে হামা অঞ্চলটি তার নিজের। এই অঞ্চলের মানুষের বিরাট সমর্থন ছিল আসাদের প্রতি। বিরোধী গোষ্ঠী যদি এই অঞ্চল দখল করে নিতে পারে, তাহলে কার্যত আর কোনও জনভিত্তি থাকবে না আসাদের।
অবশ্য চলমান লড়াইয়ে ইরান এবং রাশিয়া আসাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরান এবং রাশিয়া আসাদের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। রাশিয়া আলেপ্পো অঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।
ইতোমধ্যেই পিক আপ ট্রাকে করে ইরানের যোদ্ধারা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page