
এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা ১৮ আসনের জনগণের এমপি হিসেবে পরিচিত। একজন এস এম জাহাঙ্গীর এক দিনে তৈরি হয় নাই, চড়াই উত্তরাই যুদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে একজন এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
৯০ এর দশকে স্বৈরাচার এরশাদ কে গণঅভ্যুত্থান মধ্য দিয়ে হটিয়ে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের ছাত্র রাজনীতিতে আবির্ভাব হয়। ১৯৯২ -৯৩ শিক্ষা বর্ষে তেজগাঁও কলেজের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত ভিপি নির্বাচিত হন। সাংগঠনিক দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সেক্রেটারি পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হন। এই সময় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলকে সাংগঠনিকভাবে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যে এখন পর্যন্ত যে সকল ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তর কিংবা দক্ষিণে রাজনীতি করছেন তারা এক কথায় জানেন তার নেতৃত্বে কতটা সংগঠিত। এস এম জাহাঙ্গীর একজন কর্মীবান্ধব জননেতা। রাত কিংবা দিন ভোর কিংবা সকাল যখনই ডাকবেন এই নেতাকে অবশ্যই কিংবা সকাল যখনই ডাকবেন এই নেতাকে অবশ্যই সার্বক্ষণিক পাশে পাবেন। এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন করেন ছাত্র রাজনীতি থাকবে ছাত্রদের হাতেই যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি যোগ্য নেতৃত্বে তৈরি হবে। যুবদলে যখন ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হন তখনো মহানগর উত্তর কিংবা দক্ষিণ সর্বদিকে তার অবদান অনস্বীকার্য। মিরপুর, ক্যান্টনমেন্ট,আদাবর, মোহাম্মদপুর, তুরাগ, উত্তরা পূর্ব-পশ্চিম, বাড্ডা, রামপুরা, বনানী যুবদলকে একটি সুন্দর কাঠামোই দাঁড় করিয়েছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আগামী দিনের যুবদল তাদের মেধা এবং মননশীলতা দিয়ে প্রতিটা সেক্টরে কাজ করবেন। দক্ষিণ খান একজন বিএনপি দলীয় সভাপতি দাবি করেন এস এম জাহাঙ্গীর মানেই গরিবের বন্ধু আমরা রাত দুইটা নাই তিনটা নাই আমাদের যেকোনো প্রয়োজনে ওনাকে কাছে পাই।

ক্যান্টনমেন্ট থানার সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান এস এম জাহাঙ্গীর এমন একজন নেতা যিনি গরিবের বন্ধু এবং নেতৃত্ব কি জিনিস কিভাবে সংগঠন চালাতে হয় উনার থেকে কেউ ভালো জানে আমার মনে হয় না,তবে এই মুহূর্তে যে অভাব গুলো বোধ করা হচ্ছে এসএম জাহাঙ্গীরকে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি করা হলে এই সমস্যাগুলো থাকতো না। কর্মীরা আরো বেশি চাঙ্গা হতো।
১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বাবু বলেন “এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সভাপতি হলে ঢাকা মহানগর উত্তর আরো শক্তিশালী হত থাকতো না কোন ভেদাভেদ, কোন প্রকার গ্রুপিং থাকত না উনি এগুলো শক্ত হাতে দমন করতে পারতেন। আজকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন উনারা এই গ্রুপিং গুলোকে উস্কায় দিচ্ছেন,প্রতিটা থানায় দুই তিনটা করে গ্রুপ। এইগুলো সমাধানের জন্য এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে সভাপতি বা সেক্রেটারি করার জোর দাবি জানান। এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন শেখ হাসিনার আমলে প্রায় ৪০০ মামলার আসামি ছিলেন। বেশ কয়েকবার জেলে জুলুমের শিকার হয়েছেন। অনেকবার রিমান্ডে গেছেন, অবিচল থেকেছেন তার কর্তব্য নিষ্ঠার প্রতি, আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে বলতে চাই আমার দেখা যে কয়জন নেতা ঢাকা মহানগরী নেতৃত্ব দিয়েছেন তার ভেতর অত্যন্ত পরিশ্রমী ত্যাগী নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যায়ের কাছে উনাকে কখনোই আপোষ করতে দেখি নাই উনি আপোষ করারও লোক নয়। এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর এর অধিকাংশ নেতা কর্মীরা মনে করেন এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত করা হলে ঢাকা মহানগর উত্তর একটা সুন্দর সাজানো বাগান পাবে। আমরা প্রতিটা থানায় অবজারভেশন করে যেটা বুঝেছি এই মুহূর্তে একটি স্ট্রং প্যানেল তৈরি করা দরকার। ঢাকা মহানগর উত্তর আর যেখানে এস এম জাহাঙ্গীর এর মত ত্যাগী নেতাদের দিয়ে কমিটিগুলো সাজানো উচিত, এই ব্যাপারে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
(চলমান থাকবে বর্তমান রাজনীতি প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখা)
মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন
প্রকাশক ও সম্পাদক
দৈনিক জনজাগরণ
সাধারণ সম্পাদক
মিরপুর প্রেসক্লাব, ঢাকা।