
বার্সেলোনার চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন তরুণ এই তারকা।চোটের কারণে আপাতত মাঠের বাইরে লামিনে। ইয়ামাল লামিনে ইয়ামাল যা কিছু করবেন, যা কিছু পাবেন—তার সবই যেন রেকর্ড আর ইতিহাস। এরই মধ্যে মাঠের খেলায় আর পুরস্কার-অর্জনে বেশ কয়েকটি কীর্তিতে নাম লেখানো বার্সেলোনার কিশোর-তারকা এবার গড়লেন আরেকটি রেকর্ড। সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার জিতেছেন ইয়ামাল।এবারের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে সবচেয়ে কম বয়সে অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী পুরুষ ফুটবলে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার কোপা অ্যাওয়ার্ডও জেতেন ইয়ামাল।
‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কারটি ২১ বছরের কমবয়সীদের জন্য হলেও এর আগে ইয়ামালের মতো ১৭ বছর চার মাস বয়সে আর কেউই পাননি। জুরিদের দেওয়া ভোটে মোট পয়েন্ট ছিল ৫০০, এর মধ্যে ৪৮৮-ই পেয়েছেন ইয়ামাল।

‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কারটি দিয়ে থাকে ইতালির ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম টাট্টোস্পোর্ট। এতে ভোট দিয়ে থাকেন ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধি। এর মধ্যে অন্যতম জার্মানির বিল্ড, স্পেনের মার্কা ও মুন্দো দেপোর্তিভো, ইংল্যান্ডের দ্য টাইমস, ফ্রান্সের লেকিপ, পর্তুগালের এ বোলা, সুইজারল্যান্ডের ব্লিক।
চলতি মৌসুমেও একই ছন্দে ছুটছেন এই তরুণ সেনসেশন। গোল করা ও করানোয় দারুণ পারদর্শী এই ফুটবলারকে তাই সেরা হিসেবে বেছে নিতে খুব একটা ভাবতে হয়নি তুত্তোস্পোর্তের নির্ধারিত জুরি বোর্ডের। ৫০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪৮৮ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হওয়ার পর তুত্তোস্পোর্তে প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়ামাল।
“এই পুরস্কার জিততে পারা দারুণ এক সম্মান। একটা স্বপ্ন, আমি খুব খুশি। তুত্তোস্পোর্ত ও বিচারকদের ধন্যবাদ। বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের সতীর্থ ও কোচদের আমি ভুলতে চাই না। আমি খুব খুশি এবং সামনে আরও সাফল্য পেতে মুখিয়ে আছি।”
২০০৩ সালে পুরস্কারটি দেওয়া শুরু করে তুত্তোস্পোর্ত। এর আগে ওয়েইন রুনি, লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে, আর্লিং হলান্ডের মতো তারকারা জিতেছেন ‘গোল্ডেন বয়।’ গতবার জেতেন রেয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহ্যাম। ভবিষ্যতের সেরাদের সেই তালিকায় এবার যোগ হলো ইয়ামালের নাম।
সব মিলিয়ে বার্সেলোনার চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন ইয়ামাল। মেসি ও ইয়ামাল ছাড়াও জেতেন গাভি ও পেদ্রি। আর কোনো ক্লাবের তিনবারের বেশি নেই এই অর্জন।