
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ২৯ নভেম্বর, শুক্রবার একটি বোর্ড মিটিং ডেকেছে। পাকিস্তানে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকটি ভার্চুয়াল ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে এবং সব বোর্ড সদস্যদের এজেন্ডা সরবরাহ করা হয়েছে।
১২ পূর্ণ সদস্য, ৩ সহযোগী সদস্য এবং একজন স্বাধীন পরিচালকসহ ১৬ সদস্যের আইসিসি বোর্ড এই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বৈঠকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে: ১. হাইব্রিড মডেল গ্রহণ, ২. টুর্নামেন্ট অন্য দেশে স্থানান্তর, ৩. টুর্নামেন্ট স্থগিত করা। তবে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) স্পষ্টভাবে হাইব্রিড মডেলের বিরোধিতা করেছে। এই মডেলে ভারতের ম্যাচগুলো অন্য দেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের মেয়াদে শেষ সভা এটিই। আগামী রোববার থেকেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবেন ভারতীয় বোর্ডের সচির জয় শাহ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা থাকবে তার অবশ্য এমনিতেও।
২০১৭ সালেরপর থমকে থাকা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নতুন পথচলা শুরু হওয়ার কথা আগামী আসর দিয়ে। ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ আট দলের এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা পাকিস্তানের তিন শহর লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। তবে আইসিসি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ জানায়নি। এমনিতে বৈশ্বিক আসরের ক্ষেত্রে ১০০ দিন আগেই পুরো সূচি প্রকাশ করা হয়। এবার সেটি এখনও করেনি আইসিসি।
ভারতের সরকার ভারতীয় দলকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়াতেই সঙ্কটের শুরু। এখনও যা চলছে।গত এশিয়া কাপেও এই বাস্তবতা দেখা দিয়েছিল। ভারতীয় দল সেবারও পাকিস্তানের না যাওয়ায় ‘হাইব্রিড’ মডেলে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে হয়েছিল টুর্নামেন্ট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রেও একই পথ বেছে নেওয়ার আলোচনা চলছে। তবে পিসিবির প্রধান মহসিন নাকভি এবার এই পদ্ধতি মানতে রাজি নন একদমই। গোটা টুর্নামেন্টই পাকিস্তানের করতে তারা বদ্ধপরিকর। ভারতীয় বোর্ডকে উন্মুক্ত আলোচনার প্রস্তাবও তারা দিয়ে রেখেছেন।
আইসিসির সভায় শেষ পর্যন্ত মহসিন নাকভি কতটা শক্ত অবস্থানে থাকতে পারেন, সেটির ওপরও টুর্নামেন্টের ভাগ্য নির্ভর করবে অনেকটা।
নাকভি শুধু পিসিবির সভাপতিই নন, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। ভারতীয় বোর্ডের সচিব ও আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান জয় শাহর বাবা ভারতের স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ।