
শিহাব উদ্দিন শিহাবঃ
বিএনপির সহ অঙ্গসংগঠনের হাইব্রিড নেতাদের দাপট।
বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ যে সকল অঙ্গসংগঠন আছে সেগুলোতে হাইব্রিড নেতাদের কদর বেড়েছে । ঢাকা মহানগর সহ বিভিন্ন মহানগর জেলা কমিটি গুলোতে যারা আন্দোলন সংগ্রামে সামনের দিকে ছিলেন না তারাই আজকে দাপটের সাথে রাজনীতি করছেন। আর এই সকল দাপটি ওয়ালারাই বিগত ফ্যাসিবাদের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভালো অবস্থানে ছিলেন এবং তাদের মাধ্যমে আবার আওয়ামী লীগ সংগঠিত হবে বলে বিশ্লেষকরা অনেকেই মনে করেন।

৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি ঘোষিত যে কর্মসূচি চলছে সেগুলোতে হাইব্রিড নেতারা বেশ দাপটে আছে যা দৃশ্যমান হচ্ছে। যারা মামলা মোকদ্দমা জেল জুলুম খেটেছে তাদের অবস্থান নেই বললেই চলে। তাদের কাছে আজকে অর্থ নেই টাকা নেই তাই তারা আজকে মূল্যহীন পড়েছে বলে অনেকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানা কমিটিগুলো বা ওয়ার্ড কমিটিগুলো এই হাইব্রিড নেতাদের মাধ্যমেই তৈরি হচ্ছে যার ফলে আওয়ামী ঘরোনার বিএনপি লোকজনরাই প্রেসিডেন্ট বা সেক্রেটারি পোস্টগুলোকে হাতিয়ে নিচ্ছে। এই ব্যাপারে অনেকে অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে এজন্য তারা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি কামনা করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ প্রতিটা থানায় বা ওয়ার্ড বা ইউনিটে গ্রুপিং চলছে এই গ্রুপিং গুলো যদি সমাধান না করা যায় তাহলে নিজেদের ভিতরেই মারামারি কিংবা দলীয় কোন্দল অচিরেই দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র থেকে জানা যায় যারা গা বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের সাথে আঁতাত করে চলেছে কেউবা দলীয় পরিচয় না দিয়ে পদত্যাগ করেছে তারাই আজকে প্রথম সারির নেতা হিসেবে নিজেকে এলাকায় দাপটের সাথে প্রভাব বিস্তার করেছে। আর এই ক্ষেত্রে তাদের সরাসরি ইন্ধন যোগাচ্ছে হাউসিং কোম্পানিগুলো যাদের অঢেল সম্পদ আর এই সম্পত্তিগুলো সমস্তই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছত্রছায় তৈরি। আর এই হাউজিং কোম্পানিগুলো টাকা দিয়ে এই হাইব্রিড গুলোকে কাজে লাগিয়ে থানা মহানগর কমিটিগুলোতে আধিপত্য বিস্তার করছে। আর যারা কারো সাথে আপোষ করে নাই সংগ্রাম করে নিজেকে মামলা মোকাদ্দমার জর্জরিত করে টিকিয়ে রেখেছে তারা আজ অবহেলিত।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আশা ভরসা নিয়ে আগামীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করছেন এই সকল কারণে অবশ্যই বাধার সম্মুখীন করবেন বলে অনেকেই মনে করেন। যে সকল হাউজিং কোম্পানিগুলো আওয়ামী লীগ ঘটনার ছিল সেখানে কিভাবে তারা বিএনপি লোকজন দিয়ে পুনরায় চোর দখল দখলে লিপ্ত আছে এগুলো অনুসন্ধানের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমান এর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পদো বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। আজ ১৭ বছর জেল-জরুম খাটার পর তাড়া ক্লান্ত, টাকা পয়সা নাই,এই সকল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করলে বিএনপিকে অচিরেই এর বড় খেসারত দিতে হবে। বিএনপি নেতারা মনে করেন এই অবস্থা চলতে থাকলে আর যদি একই নেতারা মূল্যহীন হয়ে পড়ে তাহলে আগামী দিনে মানুষের রাজনীতির প্রতি একটা অনীহা কাজ করবে।