
পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১১ পুলিশ নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রদেশের রহিম ইয়ার খান এলাকার কাচা শহরে এ হামলা চালানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতের সন্ধানে রহিম ইয়ার খান এলাকার মরুভূমিতে টহল দিচ্ছিলেন ওই পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা রকেটচালিত গ্রেনেডও ব্যবহার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ডাকাত, কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী সদস্য নয়। তবে এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো পক্ষ।

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে ডাকাত দমনে প্রায়ই অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এই ডাকাতরা গ্রাম ও জঙ্গল এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকে। অপহরণ করে প্রায়ই তারা মুক্তিপণ আদায় করে। বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা বেড়েছে। তবে একক কোনো হামলায় এত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা বিরল।
এ হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে গতকালই পাঞ্জাবে একটি স্কুলবাসে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এতে দুই শিশু নিহত এবং ছয়জন আহত হন। ওই হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি। তবে স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ওই বাসের চালককে লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। শত্রুতা থেকে এই হামলা চালানো হতে পারে।
সুত্র: দৈনিক সমকাল