
মুন্সীগঞ্জে পদ্মার চরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেপ্তার তিন যুবকের স্বীকারোক্তি
ক্রাইম রিপোর্টারঃ

মুন্সীগঞ্জে পদ্মার চরে নিয়ে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিন যুবক। তাদের মধ্যে দুই যুবক গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জুলফিকার হোসাইন রনির কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।শুক্রবার(২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ আদালতের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রাশেদ খান চৌধুরী।কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রাশেদ খান চৌধুরী বলেন,গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন যুবক দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন বৃহস্পতিবার বিকেলে এবং একজন এর আগে জবানবন্দি দেন।গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী-সতিন গ্রেপ্তার
গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী-সতিন গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে এক গৃহবধূকে পদ্মার চরে নিয়ে ধর্ষণ করে তিন যুবক।ভুক্তভোগী গৃহবধূর অভিযোগ,শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রলারে ওঠার পর যাত্রীবেশী তিন যুবক তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পদ্মা সেতু উত্তর থানায় মামলা হয়।গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইয়ামিন মুন্সী (১৯),জামাল মোল্লা(২৩) ও জব্বার শেখকে(১৮)গ্রেপ্তার করে পুলিশ।গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে,গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জনৈক গৃহবধূ তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে মামলা রুজু করে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে।পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি পদ্মা নদীর পাড় থেকে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭ টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়।মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান,পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আসামীরা জানান,ভুক্তভোগী গৃহবধূ পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে তার স্বামীর বাড়ি যাওয়ার জন্য ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষাকালে অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা তাকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠায়।পথিমধ্যে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বার ট্রলারে ওঠে।সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নদীপথে নির্জনতার সুযোগে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জনমানবহীন পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে নিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্ট গার্ড স্টেশনের পাশে ভিকটিমকে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ট্রলার থেকে নামিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।পুলিশ সুপার আরো জানান,অভিযুক্ত তিনজনই বৃহস্পতিবার আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।এ ঘটনায় ব্যবহৃত নৌকা এবং আলামত হিসাবে একটি জিও ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তার ব্যবহৃত জামাকাপড় আলমাত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।বর্তমানে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান এবং পলাতক অপর আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।