
স্ত্রী আনুশকা শর্মা, কন্যা ভামিকা ও পুত্র অকায়কে নিয়ে ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি! এমনটাই জানালেন কোহলির ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা।
ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় বিরাট কোহলি। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। ব্যাট হাতে বাইশগজে সময়টা ভালো কাটছে না। চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও খুব একটা ছন্দে নেই। এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে স্বপরিবারে ভারতের বাইরে স্থায়ী হচ্ছেন কোহলি।


তিনি জানান, ভারত ছেড়ে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি। ক্রিকেটকে বিদায় জানানো পর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সেখানেই থাকবেন কোহলি।
কলকাতার প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাসহ ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে।
রাজকুমার বলেন, কোহলি লন্ডনে যাওয়ার কথা ভাবছে। খুব তাড়াতাড়ি আনুশকা, ভামিকা ও অকায়কে নিয়ে সেখানে চলে যাবে ও। ক্রিকেট ছাড়া বাকি সময়টা কোহলি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে ভালোবাসে। অবসরের পরে বাকি জীবনটা ও লন্ডনে কাটাতে চায়।
হঠাৎ করে কেন লন্ডনে যেতে চান কোহলি? তার জবাবে রাজকুমার জানিয়েছেন, সেখানে অনেক স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাতে পারেন তিনি। সেই কারণেই এই ভাবনা।
রাজকুমার বলেন, ‘লন্ডনে ওর থাকতে ভালো লাগে। ওখানকার পরিবেশ ওদের ভালো লাগে। ভারতে থাকলে যেভাবে সারাক্ষণ ওদের নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতে হয় সেটা লন্ডনে দরকার পড়ে না। ওখানে অনেক স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাতে পারে ওরা।’
ছেলে অকায় জন্মানোর পর থেকে ভারতের বাইরেই অধিকাংশ সময় কাটান আনুষ্কা শর্মা। খেলায় বিরতি থাকলে লন্ডনে চলে যান কোহলিও। ইতোমধ্যে জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছে বিরাটপুত্র। লন্ডনে একাধিকবার দেখাও গেছে বিরুষ্কা জুটিকে।
মাঝে মাঝেই সন্তানদের নিয়ে লন্ডনের রাস্তায় ঘুরে বেড়ান তারা। ইংল্যান্ডের ইস্কনের মন্দিরে বিরাট ও অনুষ্কাকে কীর্তন শুনতেও দেখা যায়। তখন থেকেই জল্পনা ছড়াতে থাকে, তারা নাকি আর এদেশে ফিরবেন না। বাক্স-প্যাটরা গুছিয়ে একেবারে নাকি বিদেশেই থাকবেন।
বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও এখনই এক দিনের ক্রিকেট থেকে কোহলি অবসর নেবেন না বলেও জানিয়েছেন রাজকুমার। তিনি বলেন, “কোহলি এখনও ফিট। অবসরের বয়স ওর হয়নি। আমি নিশ্চিত, ও আরও পাঁচ বছর খেলবে। ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে ও খেলবে। আমি ওকে ১০ বছর বয়স থেকে চিনি। তাই ও কী ভাবছে সেটা আমি জানি। ওর সঙ্গে প্রায়ই আমার কথা হয়।