
স্থানীয় বাসিন্দা, ভুক্তভোগী মানুষ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতা-কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে হাসানাত আবদুল্লাহ ‘বরিশালের গডফাদার’ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর রাজত্বে সবাই ছিল ‘করদ প্রজা’। তাঁকে টাকা না দিলে জেলায় কোনো সরকারি কাজ বাস্তবায়িত হতো না। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গণমাধ্যমও কথা বলতে ভয় পেত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই হওয়ার সুবাদে তাঁকে বরিশালে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ‘অভিভাবক’ হিসেবে প্রচার করতেন অনুসারীরা।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। কিন্তু জেলা ছাড়িয়ে বরিশাল বিভাগে দলের রাজনীতিতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক। নিজের অনুসারীদের নিয়ে গড়েন একটি শক্তিশালী ক্ষমতার কেন্দ্র। দলীয় কমিটি ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়নকাজের বড় কমিশন আদায় এবং জমি দখলের অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ১৬ বছরে বেড়েছে তাঁর সম্পদ।

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আশির দশকের শেষ দিকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর তিনি দীর্ঘদিন এই পদে ছিলেন। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনি জেলা সভাপতি হন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য হন। ২০০১ সালে তিনি পরাজিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেননি। এরপর ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার তিনি সংসদ সদস্য হন।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সংসদে চিফ হুইপ ছিলেন আবুল হাসানাত। চিফ হুইপ হিসেবে তাঁর যোগ্যতার প্রশ্নে সে সময় নানা আলোচনা ছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে। এ ছাড়া তিনি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রীর পদমর্যাদা) ছিলেন। এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, ভুক্তভোগী মানুষ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতা-কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে হাসানাত আবদুল্লাহ ‘বরিশালের গডফাদার’ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর রাজত্বে সবাই ছিল ‘করদ প্রজা’।