শরৎ শেষে কার্তিকের শুরু থেকেই শেষ রাতে গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলে দেখা মিলছে ভোরের শিশির ও কুয়াশা। স্থানীয়রা বলছেন, গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীসহ গোটা সীমান্তাঞ্চলে এবার শীত আসছে অন্যবারের চেয়ে অনেকটা আগে ভাগেই। দিগন্তজোড়া মাঠের প্রান্তে কুয়াশার চাদর মুড়িয়েই নিচ্ছে। ইট-পাথর-কাঠ ঘেরা শহরেরও অলিগলিতে শীত আসছে কর্মব্যস্ত মানুষের পদচারণায়। গারো পাহাড়ের শতবর্শী ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ, শাহজাহান আকন্দ, আলহাজ. শরীফ উদ্দিন সরকার ও আলহাজ, সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল ইনকিলাবকে জানান, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তারা জানান, রাতভর বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে কুয়াশা ঝরে। ভিজে যায় পিচঢালা পথ। গাছের পাতা, ধানের ক্ষেত আর ঘাসের ওপরে জমছে বিন্দু বিন্দু শিশির। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত সড়কের যানবাহনগুলো চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। মনে হচ্ছে এবার একটু আগেভাগেই শীতের দেখা মিলবে। মধ্যরাতে ও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশায় ভরে যায় প্রকৃতি। ক’দিন ধরে ভোরে বেশ ঠান্ডা লাগছে। মনে হচ্ছে, এবার শীত বুঝি একটু আগেই আসতে চাইছে। শেরপুর জেলায় আবহাওয়া অধিদফতরের কোনো কার্যালয় নেই। জানতে চাইলে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল মুঠোফোনে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গারো পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় কিছুটা আগেভাগেই শীত শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। শীতার্তদের মধ্যে এবারো শীতবস্ত্র আগেভাগেই বিতরণ করা হবে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page