
বর্তমানে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান বলতে যেটা বোঝায়, তার জনক হচ্ছে মুসলমানগণ। শুরু থেকেই মুসলমানগণ ছিলেন জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ ও প্রাচুর্যময়, অপরদিকে কাফিররা ছিলো মূর্খ, অজ্ঞ ও বর্বর। উল্লেখ্য, ১২৫৮ সালে হালাকু খান মুসলিম জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু বাগদাদ নগরীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ধ্বংস করে মুসলিম জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্র বাইতুল হিকমাহ লাইব্রেরী। এই লাইব্রেরী থেকে মুসলমানদের অনেক জ্ঞান-বিজ্ঞান গবেষণা বই চুরি যায়, যা পরবর্তীতে ইহুদী ও খ্রিস্টান জাতি করায়ত্ব করে ফেলে। একইভাবে ১৪৯২ সালে পতন হয় স্পেনে মুসলিম শাসনের। ঐ সময় স্পেন ছিলো মুসলিম সভ্যতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র, যেখানে বিশাল লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত ছিলো মুসলিম বিজ্ঞানীদের গবেষণাধর্মী বইসমূহ। স্পেন দখলের পর খ্রিস্টানরা স্পেনের লাইব্রেরীগুলো দখল করে, তারা অনেক বই সরিয়ে ফেলে, অনেক বই নদীতে ফেলে দেয়, আবার অনেকগুলো আগুনে ধ্বংস করে ফেলে। ১৫শ’ শতাব্দীর শেষ দিকে মুসলিম বিজ্ঞানীদের থেকে চুরি করা বইগুলো নিয়েই ১৭শ’ শতাব্দীতে ইউরোপীয়দের মধ্যে জ্ঞান বিজ্ঞানের সূচনা ঘটে। তারা মুসলমানদের থেকে চুরি করা বইগুলো অনুবাদ করতো এবং নিজেদের নামে প্রচার করতো। তবে মুসলমানদের লিখিত অধিকাংশ বই ছিলো আরবী ভাষায়, খ্রিস্টানরা আরবী খুব একটা বুঝতো না, কিন্তু ইহুদীরা বুঝতো। তাই খ্রিস্টানরা মুসলমানদের বইগুলো ইহুদীদের কাছে দিয়েছিলো অনুবাদের জন্য। ইহুদীরা ছিলো ধূর্ত। তারা বলতো- ‘একটা একটা বই দিলে হবে না, সব দাও, আমরা ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করে দিবো’। ইহুদীদের এ কথা শুনে খ্রিস্টানরা তাদেরকে অধিকাংশ বই দেয়, যেখান থেকে ইহুদীরা বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এই কারণে বর্তমানে ইহুদীদের মধ্যে বেশিরভাগ কথিত বিজ্ঞানীর দেখা মিলে।
