
বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগেই ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে তাবলীগের শুরায়ে নেজামী (যোবায়ের) অনুসারী ও ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন। পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালনকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের জুবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় ।

এদিকে সংঘর্ষে ৪০-৫০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন—তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশি নেতা মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৫৫) ও ঢাকা জেলার দক্ষিণখান থানার বেরাইদ এলাকার বেলাল (৬০), ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী বগুড়া জেলার তাইজুল ইসলাম (৬৫) (সায়েম)।
জানা গেছে, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় ইজতেমা পালন করেন কয়েক হাজার মুসল্লি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বরে জোড় ইজতেমায় আয়োজনের অনুমতি চান ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির আয়োজক কমিটির (বাংলাদেশের) শীর্ষ মুরব্বিরা। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় দফায় জোড় ইজতেমার অনুমতি দেওয়া হয়নি মাওলানা সাদ অনুসারীদের।
গত কয়েক দিন ধরে সরকার ও মাওলানা জুবায়ের অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বিদের কাছে দফায় দফায় জোড় ইজতেমা করার অনুমতি চান মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বিরা।