
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। বুধবার ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কলকাতার দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের ‘এক্সক্লুসিভ’ প্রতিবেদনে এই তথ্য দাবি করা হয়। এরপর একে একে হিন্দুস্তান টাইমস, নিউজ ১৮-সহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে চঞ্চলের ‘গৃহবন্দি’র খবর প্রচার করা হয়। যা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকার পাশাপাশি রাস্তায় নেমেছিলেন তারা। সেই দলে দেখা যায়নি চঞ্চল চৌধুরীকে। ফলে নিয়মিত কটাক্ষের মুখে পড়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।

অনেকেই চঞ্চলকে সুবিধাবাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেউ ব্যবহার করছেন এর চেয়ে অপমানজনক বিশেষণ। এই বিষয়টিকে পুঁজি বানিয়ে তিলকে তাল করে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় মিডিয়া। বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম।
ভারতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ দিন আগে ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক যাচ্ছিলেন চঞ্চল। দুবাই হয়ে নিউইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু বিমান ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে কয়েকজন বিএনপি নেতা ও সেনাসদস্যরা বিমানে উঠে চঞ্চলের কাছে জানতে চান— তিনিও কি দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন?
জবাবে অভিনেতা বলেন, কাজের জন্যই নিউইয়র্ক যাচ্ছেন তিনি। এরপরই নাকি অভিনেতাকে বিমান থেকে নামিয়ে গৃহবন্দি করা হয় তাকে। বর্তমানে নিজের বাড়িতেই রয়েছেন চঞ্চল।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর এসব মনগড়া প্রতিবেদনে কোনো বিশ্বস্ত সূত্র কিংবা চঞ্চলের বক্তব্য তুলে ধরেনি। এমনকি অভিনেতার ঘনিষ্ঠ কারও বক্তব্যও উল্লেখ নেই সংবাদে।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন চঞ্চল চৌধুরী। অভিনেতা বলেন, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি আমার সঙ্গে। এই খবরের কোনো সত্যতা নেই। পুরোপুরি মিথ্যা। এমনকি গত কয়েক মাস যাবত কোনো সাংবাদিকের সঙ্গেই আমার কথা হয়নি। কীভাবে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হলো, তা আমার জানা নেই।