
Elon Musk দাবি করেছেন ‘massive cyberattack‘ এর কারণে বিশ্বব্যাপী X (টুইটার)-এ বিভ্রাট

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম X (পূর্বে টুইটার) সম্প্রতি একটি বড় ধরনের বিভ্রাটের শিকার হয়েছে। ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মটিতে লগইন করতে সমস্যা সম্মুখীন হন, পোস্ট দেখতে পারেননি এবং বিভিন্ন ফিচার ঠিকমতো কাজ করছিল না। এই সমস্যার মধ্যেই প্ল্যাটফর্মটির মালিক ইলন মাস্ক দাবি করেছেন যে, এটি একটি ‘massive cyberattack‘ বা বৃহৎ সাইবার হামলার ফলাফল।
কী ঘটেছিল?
বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা যায়, X ব্যবহারকারীরা হঠাৎ করেই প্ল্যাটফর্মটিতে প্রবেশ করতে পারেননি, অনেকেই ‘Rate limit exceeded’ বা ‘Something went wrong’ বার্তা দেখতে পান। সমস্যাটি শুধু নির্দিষ্ট একটি দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ব্যবহারকারী এটি অনুভব করেন।


ইলন মাস্কের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর ইলন মাস্ক এক টুইটে দাবি করেন, “X বর্তমানে একটি ব্যাপক সাইবার হামলার সম্মুখীন হয়েছে, যা আমাদের সার্ভারগুলোর উপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করেছে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছি।”
বিশেষজ্ঞদের মতামত
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি DDoS (Distributed Denial of Service) আক্রমণ হতে পারে, যেখানে বিপুল পরিমাণ জাল ট্রাফিক তৈরি করে সার্ভারকে অকার্যকর করে দেওয়া হয়। তবে, এখনো পর্যন্ত কোনো হ্যাকার গোষ্ঠী বা রাষ্ট্র এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

X ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া
বিভ্রাটের কারণে অনেক ব্যবহারকারী হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেকে তাদের ব্যবসা ও যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে X ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
ভবিষ্যৎ প্রতিরোধ ব্যবস্থা
এই ঘটনার পর, X-এর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইলন মাস্ক ইতোমধ্যেই প্ল্যাটফর্মটির সার্ভার অবকাঠামো ও সুরক্ষা পদ্ধতি উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক এই ঘটনা আবারও দেখিয়ে দিল যে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব কতখানি। ভবিষ্যতে যাতে এমন আক্রমণের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।