
আল আমিন-বরগুনা :
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিন কাকচিড়া গ্রামের মোঃ মুনছুর এর বিরুদ্ধে জাল দলিল তৈরী করে জমি আত্নসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। একই গ্রামের রহমআলী হাওলাদারের পুত্র মোঃ আবদুল করিম হাওলাদার ও আবদুল ওয়াহেদ হাওলাদার ১৯৫৩ সালের ৩৪৫ নং মোকাদ্দমা ডিং ৭১৬/৫৪ মোতাবেক বসন্ত কুমার গংদের ১৯৫৪ সালের ২৮/১২ তারিখে প্রকাশ্য নিলামে বামনা সাবরেজিঃ স্টেশনাধীন ৩২৮২নং কাকচিড়া মৌজায় সাবেক ৫৩/২নং খেবটে ৪৫৭(হাল দাগ ১০২৫) /৪৬১/৪৬২/৪৬৭/১০৬৯ দাগের ৮৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। উক্ত নিলাম ৩১/১/১৯৫৫ রীতিমত বহাল রহিয়াছে। যার আর এস খতিয়ান ২৯০,এস এ খতিয়ান ৩৯৬ এবং হাল দাগ ১০২৫ (দাগের সূচীতে দেখা যায়।) নিলাম ক্রয় থেকে আবদুল করিম ও আবদুল ওয়াহেদ গং জমি ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু করিম ও ওয়াহেদ গংদের ভাষ্যমতে ১৯৫৪সালে আবদুল ওয়াহেদ খুন হওয়াতে তারা এস এ রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। ফলে এস এ রেকর্ড আগের বায়ার বসন্ত কুমার গংদের নামে থেকে যায়। ২০১৯সালে এই জমি একই গ্রামের মুনছুর পিতাঃ আদম আলী এর কাছে বন্ধক রাখে। অভিযুক্ত মোঃ মুনছুর জমি বন্ধক রেখে অনুসন্ধান করে দেখেন এই জমির এস এ রেকর্ড বসন্ত কুমার গংদের নামে। এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায় বসন্ত কুমার গং ১৯৪০ সালে এ দেশ ত্যাগ করে সপরিবারে ভারতে চলে যায়। অভিযুক্ত মুনছুর বরিশালে তার মেয়ের জামাইয়ের সহায়তায় বরিশালে ১ শতাংশ জমি দেখিয়ে বরিশাল সদর সাবরেজিঃ থেকে একখানা দলিল করেন যার নং ৯৩৩০ তারিখঃ ২০/০৮/১৯৬১। করিম গংদের ভাষ্যমতে উদেশ্যপ্রনিতোভাবে করা বরিশালের ৯৩৩০ নং দলিলটি জাল। কারন ১৯৫৫সালের নিলাম ক্রয় বা বিক্রয়ের পর আগের মালিক সেই জমি বিক্রয় করতে পারে না, যা ভূমি আইনে অপরাধ। এ নিয়ে করিমের পুত্র আবদুল মালেক বাদী হয়ে বরগুনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ০৪/০৫/২০২৫ তারিখে একটি প্রতারনার মামলা করেন যার সি আর নং ৫৫/২০২৫ (বামনা)। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এই প্রতারনার মামলার আসামী মুনছুর এর নামে সমন জারী করেছে। জমির কাছেই বাড়ী মোঃ সুলতান বলেন,জমিটি করিম গংদের ছিল বা আছে। মুনছুর জাল দলিল করে জমিটি আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জমির পাশেই বসবাসরত মোঃ সিদ্দিক বলেন জমিটি করিম গংদের। মুনছুর আত্মসাতের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। কাগজপত্র অনুসন্ধান করে দেখা যায় ১৯৫৫সালের বৈধ নিলাম হলে ১৯৬১সালের দলিল অবশ্যই জাল বা বাতিল যোগ্য। অভিযুক্ত মুনছুরকে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় নি।
