
মো. জাফর নামে এ প্রবাসীর বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার চলংচল গ্রামে।“হার্টের ধমনির ব্লক ছাড়াতে ইনজেকশন দিলে কিছুসময় পরই জাফর মারা যান।”
দেশটির রাজধানী রোমের পর্তা মাজ্জোরে শহরে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন নিহতের বড় ছেলে মো. মেহেদী।মেহেদী অভিযোগ করেন, “এসময় হার্টের ধমনির ব্লক ছাড়াতে একটি ইনজেকশন দিলে কিছুসময় পরই জাফর মারা যান। পরে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন যে চিকিৎসকের ব্যবহৃত ওই ইনজেকশনটি গত মাসে অর্থাৎ ১১ নভেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

ওইদিন সকালে জাফর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় ফোন করেন তিনি। পরে চিকিৎসক এসে জাফরকে পর্যবেক্ষণ করে জানান যে হৃদরোগে তার হার্টের ধমনি ব্লক হয়ে গেছে।
“এ ঘটনার দায় এড়াতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জাফরের মৃত্যুকে হৃদরোগ হিসেবে উল্লেখ করে একটি সনদ হস্তান্তর করেন তার পরিবারের কাছে।”
মেহেদী বলেন, “বাবার লাশ বাংলাদেশে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করেছি লাশ দেশে নেওয়ার জন্য।”
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে ইতালিতে বসবাস করছিলেন মো. জাফর (৪০)। রোমে তার মুদি দোকান রয়েছে। পরিবারে তার স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে আছেন।
এ বিষয়ে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আফিস আনাম সিদ্দিকী বলেন, “নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দূতাবাস ব্যবস্থা নেবে। যদি তারা লাশ বাংলাদেশে পাঠাতে চায়, তাহলে দূতাবাস তাদের সব ধরনের সাহায্য করবে।”