
আজ ফেসবুকে দেখলাম, সিলেটের কুদরতুল্লাহ মসজিদে জুমার খুতবা বাংলা ভাষায় দেয়া হয়। জানতে পারলাম, সেটা আমাদের জামায়াতের ভাইদের নিয়ন্ত্রিত মসজিদ।
দুঃখ লাগলো, আহলে হাদীস কি এখনো জামাতের ভাইদের নিয়ন্ত্রণ করছে!!
বিগত বছরগুলোর শুরুর ভাগে,জামায়াত আহলে হাদীসের
পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছিল। এতে তারা আকিদাগতভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, একসময় তারা মাওলানা নিজামী,সাঈদী হুজুদেরও বাতিল বলে ফতোয়া জারি করেছিল।

পরবর্তীতে দায়িত্বশীল আলেমদের সতর্কতা মূলক বক্তৃতায় কিছুটা সাবধান হয়েছিল। জামায়াত যদি আবারো সে আহলে হাদীসের পাতানো ফাঁদে পা দেয়,তাহলে বড় ভুল করবে। এখনই দায়িত্বশীলদের সজাগ থাকতে হবে।
জামায়াত যদি সত্যিই কওমি, ফুরফুরার সঙ্গে সহাবস্থান চায়, সবাইকে নিয়ে চলতে চায়, নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে চায়, তাহলে আহলে হাদিসকে প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তাদের বাতিল মতকে প্রত্যাক্ষান করতে হবে। নইলে অদূর ভবিষ্যতে জামায়াতের সাথে – অন্যদের দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করবে। এতে ক্ষতিটা বেশি হবে জামায়াতের।
জুমার খুতবা মাতৃভাষায় দেয়া একটা নব্য ফিতনা ও জগন্যতম বিদআত।
পর্ব-১
জুমআর খুতবা অন্য কোন ভাষায় প্রদান করা বিদআত। আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় খুতবা প্রদান করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং পরবর্তীতে কোন সাহাবী থেকেই প্রমাণিত নয়।
নবীজী সাঃ এর মৃত্যুকালের শেষ সময়ে আরবের বাহিরের অনেক অনারবী মুসলমানই মসজিদে নববীতে এসে নামায পড়তো। কিন্তু কোনদিনও কোন জুমআর খুতবা অন্য ভাষায় অনুবাদ করা হয়নি।
সাহাবায়ে কেরামের জমানায় এর কোন নজীর পাওয়া যায় না। হযরত উমর রাঃ এর জমানায় অনারবী মানুষে ভরে গিয়েছিল মদীনা। কিন্তু কোনদিন মসজিদে নববীতে জুমআর খুতবা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় দেয়া হয়েছে বা দোভাষী দিয়ে অন্য ভাষায় তা অনুবাদ করা হয়েছে এর কোন নজীর নেই।
সেই সাথে সাহাবায়ে কেরাম বিভিন্ন দেশে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে গেছেন। সেসব রাষ্ট্রে ইসলামের আলো ছড়িয়েছেন। কিন্তু অনারবী রাষ্ট্রে এসে আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় খুতবা দিয়েছেন বা তাদের আরবী খুতবা অন্য ভাষায় অনুবাদ করে জুমআর সময় শুনানো হয়েছে এর কোন নজীর নেই।
যে কাজ রাসূল সাঃ করেননি, বা পরবর্তী সাহাবায়ে কেরাম করেননি। সে কাজ দ্বীন হিসেবে করা সুনিশ্চিতভাবেই বিদআত। এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই জুমআর খুতবা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় প্রদান করা বিদআত। এটি পরিত্যাজ্য।
নামাযের কিরাত যেমন আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় পড়া বিদআত। ঠিক তেমনি জুমআর খুতবা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দেয়া বিদআত।
যারা এ বিদআতি কাজটি করে যাচ্ছেন, তাদের কাছে এ বিষয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এবং সাহাবায়ে কেরাম থেকে সহীহ হাদীসের দলীল চান। তাহলেই দেখবেন, দলীল নয় মনের খাহেশাতই হচ্ছে তাদের দলীল।
সুতরাং এ বিদআতি কাজ থেকে সকলেরই বিরত থাকতে হবে।
মুহম্মদ নিজাম উদ্দিন