
পূর্ব-ঘোষণা ছাড়াই ইউক্রেন সফর করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। এই সফরে চলতি মাসে কিয়েভকে ৬৮৩ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস দুদিন আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের জন্য কিয়েভে পৌঁছান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল এক রহস্যময় রুপালি রঙের স্যুটকেস। যা তিনি এক মুহূর্তের জন্যও হাতছাড়া করেননি। আর মূলত, স্যুটকেসটি হাতছাড়া না করার কারণেই সেটিকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ডের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম প্রাভদা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে বিল্ড বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই শলৎস ইউক্রেন সফর করতে চেয়েছিলেন। চ্যান্সেলর এই সফরে জানতে চান, সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইউক্রেন কী করতে প্রস্তুত।
ইউরোপের হার্টল্যান্ড বলে পরিচিত জার্মানির চ্যান্সেলর নিজ দেশে রাজনৈতিক ডামাডোল ও টানাপোড়েনের মধ্যে গেছেন। কারণ, তাঁর জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে একটি দল। যার ফলে, জোট সরকারের ভবিষ্যৎ টালমাটাল হয়ে পড়েছে। বিল্ড জানিয়েছে, জার্মানিতে শাসক জোট ভেঙে পড়ার আগে অর্থাৎ গত নভেম্বরের শুরুতেই শলৎসের ইউক্রেন সফর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
বিল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বুন্ডেসট্যাগ নির্বাচনের ৮৩ দিন বাকি থাকতে, শলৎস স্বাভাবিকভাবেই একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চান—এখনো আমিই চ্যান্সেলর।’ মূলত নিজের অবস্থান জানান দিতেই শলৎসের এই সফর। ট্রাম্পের ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে জার্মান চ্যান্সেলর ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।