
নাটোরে সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে।
আহত আবু সাঈদ গুরুদাসপুরের উদবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি। তাকে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, আবু সাঈদ ফেসবুকে জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজের নির্দেশে তার চার কর্মী গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ধারাবারিষা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শারমিন সুলতানা বলেন, আবু সাঈদ শরীরে ফোলা ও জখম নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে এই প্রতিনিধি বিএনপি নেতা আবদুল আজিজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে একটা আমি মাহফিলে ছিলাম। সাঈদকে মারার নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে আবু সাঈদ ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কটূক্তিমূলক লেখালেখি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার কিছু অনুসারী তাকে নিষেধ করতে গেলে হাতাহাতি হয়। এতে আমার লোকজনও আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, গতরাতে আবু সাঈদ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।