
অভিষেকের পর থেকেই দারুণ বোলিং করছেন। দিন যত যাচ্ছে, গতি আর ধার—দুটিই বাড়ছে নাহিদ রানার। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল কিংস্টন টেস্টে পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথমবার এক ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন নাহিদ রানা। গতরাতে জ্যামাইকার কিংস্টনে তাঁর গতির সামনে নাস্তানাবুদ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা। ২২ বছর বয়সী পেসারের তোপ সামলাতে না পেরে ক্যারিবীয়রা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৪৬ রানে।

ক্রেইগ ব্রাফেট, কাভেম হজদের গতি দিয়ে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়েছেন। নাহিদ রানা যে এমনটা করতে পারেন, সেটা জানত টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস নাহিদ রানার প্রশংসায় বলেছেন—ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করলে উইকেট পাবেনই।
নাহিদ রানার দারুণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাঁদের প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসেই ১৮ রানের লিড পেয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
কীভাবে সফল হলেন রানা? এই সাফল্যের জন্য বেশি কিছু চিন্তা করেননি তিনি। শুধু লাইন টু লাইন লাইন বল করে গেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই বলেছেন রানা, ‘প্রথমে শুকরিয়া আদায় করতে চাই। প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছি। বেশি কিছু চেষ্টা করিনি। শুধু চেষ্টা করেছি ব্যাটারদের রুম (জায়গা) না দিয়ে লাইন টু লাইন বোলিং করা যাওয়ার, কোন পরিস্থিতি কোন ব্যাটারকে কীভাবে বোলিং করা যায় সেটি করার চেষ্টা করছি।’
চাপের মুখে ব্যাটাররা উইকেটে টিকে থাকতে বা রান করার জন্য অনেক কিছু করার চেষ্টা করে। সেটি জেনেই রানার এই কৌশল। তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এই উইকেটে বেশি কিছু চেষ্টা না করে শুধু লাইন টু লাইন বোলিং করা এবং ব্যাটারকে কোনো রুম (জায়গা) না দিয়ে বোলিং করা। ব্যাটাররা অনেক কিছু করার চেষ্টা করে। আমি মনে করি, এখানে বেশি কিছু চেষ্টা করে শুধু লাইন টু লাইন বোলিং করা বোলারদের জন্য ভালো।’
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে গত রাতে তৃতীয় দিন পার করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে। সফরকারীদের লিড দাঁড়িয়েছে ২১১ রান। রানাও মনে করেন, বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে। আজ চতুর্থ দিনে ভালো কিছু বের করার প্রত্যয় তাঁর কণ্ঠে, ‘অবশ্যই আমরা এখন একটা ভালো জায়গায় আছি। এখান থেকে আমরা যদি ২৫০-এর ওপরে যেতে পারি…চতুর্থ দিনে ব্যাটিং করা ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন হবে। উইকেট একটু অন্যরকম হবে। বাউন্স থাকবে, স্পিনে টার্ন থাকবে। চতুর্থ দিনে আমরা ভালো কিছু বের করতে পারব।’