
গাছের বুদ্ধি বা জ্ঞান হলো সাধারণত তার প্রাণিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় ধারণাগুলো সম্পর্কে বুঝতে পারা। এসব ধারণার মধ্যে রয়েছে পুষ্টি, আলো, পানি, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস প্রস্তুতি এবং অক্সিজেন সরবরাহ। তবে গাছের বুদ্ধি আপেক্ষিকভাবে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ গাছগুলো মানুষের মতো চিন্তা বা বুঝে আত্মবিশ্বাস করে না।
তবে তারা একটি অত্যন্ত গুপ্ত সংস্থান অনুভব করে, যার মাধ্যমে তারা জীবন সংরক্ষণ এবং প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংরক্ষণ করে।

গাছের স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্ক না থাকায় আমরা তা বুঝতে পারি না। গত পাঁচ দশকের গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন, পারিপার্শ্বিকতা সম্বন্ধে তথ্য আদান-প্রদান, শত্রু-মিত্র সম্পর্কে সংকেত গ্রহণ ও তার জটিল বিশ্লেষণ সব কিছু করার ক্ষমতাই উদ্ভিদের রয়েছে। কোনো পত্রভোজী পতঙ্গ যখন গাছের পাতা খেতে শুরু করে তখন তার মুখনিঃসৃত লালার প্রভাবে আহত পাতায় তৈরি হয় জ্যাসমোনিক এসিড, যা উদ্ভিদদেহের নানা কোষকলায় ছড়িয়ে পড়ে।
ওটা খেয়ে পোকার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গাছ আসলে বুদ্ধিমান কি না সেটা নির্ধারণ করা যাবে আপনি বুদ্ধি জিনিসটাকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চাইছেন তার ওপর। তারা বলছেন, উদ্ভিদ পরস্পর যোগাযোগ করতে পারে, শিখতে পারে এবং পুরনো স্মৃতি মনেও করতে পারে।
সকালের মোলায়েম সূর্যের আলোয় কীটপতঙ্গের দুরন্ত দাপাদাপি দেখে ধরে নিতে পারেন, প্রকৃতি সত্যিই মনোরম।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, একদল ক্ষুধার্ত পতঙ্গ কিন্তু গাছের কচি পাতায় রীতিমতো হামলে পড়েছে। গাছ তো নিজেকে লুকাতে পারে না। শত্রু দেখে পালাতেও পারে না। কিন্তু ভাবার কারণ নেই যে উদ্ভিদরা সত্যি অসহায়। এদের কেউ কেউ রুখে দাঁড়ায়, এমনকি একে অন্যকে সহায়তা করে।
ক্ষুধার্ত পতঙ্গ পাতার কাছাকাছি এলে উদ্ভিদ তার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মেলে ধরে এবং আশপাশের উদ্ভিদের কাছে নিজস্ব পন্থায় শত্রুর আগমনের সংকেত পাঠায়। এ কারণে বিজ্ঞানীরা বলছেন, গাছ আসলে বুদ্ধিমান। সূত্র : সায়েন্স ডেইলি